Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জেলে বসেও হানিপ্রীতকেই দেখতে চান ‘রকস্টার বাবা’

বন্দি থাকাকালীন কার কার সঙ্গে দেখা করতে চান, তেমন ১০ জনের একটি তালিকা সুনারিয়া জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন ডেরা-প্রধান। তালিকা পেয়ে তাজ্জব জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ সেখানে নাম পর্যন্ত নেই রাম রহিমের স্ত্রী হরজিৎ কৌরের।

সুদিনে: হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিম। ফাইল চিত্র

সুদিনে: হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিম। ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০২
Share: Save:

স্ত্রী নন, জেলে বসেও পালিতা কন্যা হানিপ্রীত ইনসানের সঙ্গেই দেখা করতে চান ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ। এর আগে জেলের ভিতরেই হানিপ্রীতকে পাশে চেয়েছিলেন ‘বাবা’। কিন্তু তার অনুমতি মেলেনি। এ বার জেলে তাঁর দর্শনে আসবেন যারা, সেই তালিকায় রাম রহিম নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের টপকে এক নম্বরে জায়গা দিয়েছেন এত দিনের ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীতকেই। ফেরার হানিপ্রীতের সন্ধান পেতে পুলিশ যদিও চষে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।

বন্দি থাকাকালীন কার কার সঙ্গে দেখা করতে চান, তেমন ১০ জনের একটি তালিকা সুনারিয়া জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন ডেরা-প্রধান। তালিকা পেয়ে তাজ্জব জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ সেখানে নাম পর্যন্ত নেই রাম রহিমের স্ত্রী হরজিৎ কৌরের। উল্টে প্রথম নামটিই বিতর্কিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসানের। রয়েছেন মা নসীব কৌর, ছেলে জসমিত ইনসান, বৌমা হুসানপ্রীত ইনসান, দুই মেয়ে অমরপ্রীত ও চরণপ্রীত–সহ পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্য। ডেরার চেয়ারপার্সন বিপাসনাও তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে গত ২৮ অগস্ট রাম রহিমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে হানিপ্রীতের নামে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনে হরিয়ানা পুলিশ। সূত্রের খবর, সাজা ঘোষণার দিনই ‘বাবা’-কে নিয়ে পালানোর ফন্দি এঁটেছিলেন হানিপ্রীত। জেলেও ‘বাবা’-র সঙ্গে রাত্রিবাসের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। খারিজ হয়ে যায় সেই আর্জি। পালানোর ছক এবং সঙ্গে থাকার আবেদন দু’টোই বাতিল হওয়ায় বেপাত্তা হয়ে যান হানিপ্রীত।

আরও পড়ুন:লালু-কন্যার ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত

সিরসার পুলিশ সুপার অশ্বিন শেনভি জানিয়েছেন, রাম রহিমের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ মিলছে না। গুরমিত তালিকায় যাঁদের নাম দিয়েছেন, বিপাসনা ছাড়া তাঁদের বেশিরভাগই পলাতক। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরেই ডেরা ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য। এরই মধ্যে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। হরিয়ানা পুলিশের একটি সূত্র বলছে, গোপনে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন হানিপ্রীত। বাবা-র পালিতা কন্যা ভারত-নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। হানিপ্রীতের খোঁজে ভারত-নেপাল সীমান্ত গৌরীফান্টায় পৌঁছয় হরিয়ানা পুলিশের একটি দল। সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘনশ্যাম চৌরাশিয়া জানান, চিরুনি তল্লাশিতেও হানিপ্রীতের খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE