দুপুর আড়াইটেতেও আজকাল খাঁ-খাঁ করছে নির্মাণ ভবনের স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, খোদ মন্ত্রীমশাই নেই। তাঁর ছোট মন্ত্রীও দফতরে আসছেন না প্রায় মাসখানেক হল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা আর তাঁর প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল ব্যস্ত উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে।
শুধু কি এই দু’জন? মোদী সরকারের ডজনখানেক মন্ত্রীই এখন উত্তরপ্রদেশের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে। খোদ মোদী, রাজনাথ সিংহ, মনোহর পর্রীকরের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে উমা ভারতী, কলরাজ মিশ্রর মতো নেতানেত্রী— সকলেই উত্তরপ্রদেশের সাংসদ। এঁরা তো বটেই, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন আরও অনেক মন্ত্রীই পাড়ি দিয়েছেন ভোট ময়দানে। মন্ত্রকের কাজ চুলোয় যাক! আপাতত ভোটের বৈতরণী পারই আসল লক্ষ্য। অতএব স্মৃতি ইরানি, নরেন্দ্র সিংহ তোমর, মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, পীযূষ গয়াল, কৃষ্ণা রাজ, সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, অনন্ত
কুমার, রবিশঙ্কর প্রসাদ, মহেশ শর্মা, নিরঞ্জন জ্যোতি, সঞ্জীব বালিয়ান, মনোজ সিনহার মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এখন মন্ত্রকের থেকে বেশি নজর উত্তরপ্রদেশেই। লন্ডন থেকে ফিরে আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও ছুটে গিয়েছেন বারাণসীতে। বারাণসীতেই সপ্তাহান্তে তিন দিন থাকবেন মোদী।
আরও পড়ুন: দিল্লির জল, দুধ বন্ধ করার হুমকি
আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য এই যুক্তি মানছেন না। তাঁর বক্তব্য, মন্ত্রীরাও দলের সৈনিক। ভোটের সময় নিজের কেন্দ্র থেকে প্রচার করতে যাওয়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের ভোটের সময় দিল্লি থেকেই যাতায়াত করা যেত। কিন্তু পূর্ব প্রান্তের ভোটে বারাণসীই ঘাঁটি। অমিত নিজেও ক’দিন আগে টানা পাঁচ দিন সেখানে ছিলেন। মন্ত্রীরাও জড়ো হলে অবাক হওয়ার কী আছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy