(বাঁ দিকে) তেলঙ্গানার মেহবুবনগরে ভেসে গিয়েছে রেললাইন। বিজয়ওয়াড়ায় বাড়ির উপর ধস নেমেছে (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত দক্ষিণের দুই রাজ্য তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। তেলঙ্গানার উপকূলীয় অঞ্চলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট একটি নিম্নচাপের জেরে এই দুই রাজ্যে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে জানানো হয়েছে। ফলে দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তেলঙ্গানার সব জেলায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ একযোগে কাজ করছে। প্লাবিত জেলাগুলিতে সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে বলে জানানো হয়েছে। আদিলাবাদ, নিজামাবাদ, রামারেড্ডি, মেহবুবনগর, নারায়ণপেট, ওয়ারাঙ্গল-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় ধস নেমেছে। বৃষ্টি এবং ধসে রাজ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বিজয়ওয়াড়ার মোগলরাজপুরমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে দু’টি বাড়ির উপরে বড় পাথর গড়িয়ে পড়ে। তাতেই বাড়িগুলির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিজয়ওয়াড়ার পাশাপাশি গুন্টুরেও এক শিক্ষক এবং দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। জলের স্রোতে ওই তিন জন ভেসে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধস এবং বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকগুলির মধ্যে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া, মছলিপত্তনম, গুড়িওয়াড়া, কাইকালুরু, নারাসপুরম, অমরাবতী, মঙ্গলগিরি, নন্দীগাম, ভীমাবরম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy