বানভাসি কেরলের বিস্তীর্ণ এলাকা। শিশুকে কোলে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে। —পিটিআই।
কেরলের বৃষ্টি-দুর্ভোগ এখনই শেষ হওয়ার আশা দিল না আবহাওয়া দফতর। এমনিতেই লাগাতার বর্ষণে বিধ্বস্ত ঈশ্বরের আপন দেশ। আজই গোটা রাজ্যে প্রবল বর্ষণে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
গোটা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। তার মধ্যেই ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। সমস্যা বাড়াবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবারের মধ্যে বৃষ্টি কিছুটা কমার পূর্বাভাস থাকলেও এ দিন আবহবিজ্ঞানীরা জানান, শনিবারের আগে বৃষ্টি কমার নয়। ১৪টি জেলার মধ্যে ১২টিতেই জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কোচি বিমানবন্দর শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত কাল ইদুক্কি জলাধারের ইদামালায়ার এবং চেরুথোনি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়। কিন্তু অনবরত বৃষ্টি চলতে থাকায় লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বন্যা এবং ধসের কবলে পড়ে কেরলে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। নিখোঁজ চার জন। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘কেরলের বন্যা পীড়িত মানুষদের পাশে রয়েছে গোটা দেশ।’’
ত্রিশূর জেলায় ১০৬টি ত্রাণ শিবিরে অন্তত ৪,৫০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর্নাকুলামের ১৯৯টি শিবিরে রাখা হয়েছে ৩০,৫৮০ জনকে। বন্যায় বেশির ভাগ জলশোধন কেন্দ্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy