মৌসম ভবন জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা চলতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি আর ঝড়। — ফাইল ছবি।
গত দু’দিন ধরে ক্রমাগত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর শিলাবৃষ্টিও। তার জেরে বেঙ্গালুরুতে বিপর্যস্ত জনজীবন। উপড়ে গিয়েছে গাছ। রাস্তায় জল জমে তীব্র যানজট। জলবাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা চলতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি আর ঝড়। বৃষ্টির পূর্বাভাস মে মাসের শেষ পর্যন্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ঝড়বৃষ্টির কারণে শহরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃষ্টির জলে ভরা নিকাশি নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ বছরের এক যুবকের। যেখানে পড়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তাঁর দেহ মিলেছে। অন্য একটি ঘটনায় এক তরুণী অটোয় চেপে যাচ্ছিলেন। অটোটি প্লাবিত আন্ডারপাসে আটকে যায়। তাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। তাঁর বয়স ২০ বছরের আশপাশে।
বেঙ্গালুরু ছাড়া কর্নাটকের পুরনো মাইসুরু অঞ্চলেও বৃষ্টি চলছে। রাস্তায় জল জমেছে। বেশ কিছু ঝুপড়ি ভেঙে পড়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রতিবেশী তামিলনাড়ুর কাছে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। তার প্রভাব পড়তে পারে কর্নাটকে। শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে শিমোগা, মাণ্ড্য, টুমকুর, রামনগর, কোলার জেলায়। উপকূলবর্তী জেলা দক্ষিণ কন্নড়, উদুপি, কোদাগু এবং পার্বত্য জেলা হাসান এবং চিকমাগালুরে বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে মৌসম ভবন। তারা ঝড়বৃষ্টির সময় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার এবং জানলা, দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বাইরে থাকলে ঝড়বৃষ্টির সময় গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বৈদ্যুতিন যন্ত্রও বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। বেঙ্গালুরু শহর জলমগ্ন। এই পরিস্থিতি জলবাহিত রোগ বাড়তে পারে শহরে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy