সীমার স্বপ্নের উড়ানে সওয়ারি অনেক। সাহায্যের আশ্বাস সোনু সুদের।
এক পায়ে স্কুলের উদ্দেশে ছুটে চলা বিহারের জামুইয়ের সেই ছোট্ট সীমার পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন। তাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদও।
বুধবার দেশ জুড়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। স্কুলপোশাক পরে গ্রামের মেঠো রাস্তা ধরে পিঠে ব্যাগ নিয়ে এক পায়ে ভর করে এগিয়ে চলেছে বছর দশেকের একটি মেয়ে। ছোট্ট মেয়েটির অদম্য লড়াই দেখে মুগ্ধ গোটা দেশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বুধবারই সীমার সীমাহীন লড়াই নিয়ে টুইট করেছিলেন।
এ বার সীমার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসনও। বুধবার বিকেলেই তার বাড়িতে পৌঁছে যান খোদ জেলাশাসক অবনীশ কুমার। সীমা চলার পথকে সুগম করতে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ট্রাইসাইকেল। তাকে কৃত্রিম পা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। জেলাশাসক অবনীশ বলেন, “জেলা প্রশাসন এই ছোট্ট মেয়েটিকে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত। ওর নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায় অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই মেয়ে জীবনে অনেক ভাল কাজ করবে।”
अब यह अपने एक नहीं दोनो पैरों पर क़ूद कर स्कूल जाएगी।
— sonu sood (@SonuSood) May 25, 2022
टिकट भेज रहा हूँ, चलिए दोनो पैरों पर चलने का समय आ गया। @SoodFoundation https://t.co/0d56m9jMuA
সীমার এই অদম্য লড়াই মন ছুঁয়েছে অভিনেতা সোনু সুদের। ভিডিয়োটি দেখার পরই তিনি টুইট করেন, ‘এর পর আর এক পায়ে নয়, দু’পায়ে হেঁটেই স্কুল যাবে সীমা। টিকিট পাঠাচ্ছি। দু’পায়ে হাঁটার সময় এসে গিয়েছে।’ শুধু জেলা প্রশাসন বা সোনু সুদ নয়, বহু নেটাগরিক সীমার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তার স্বপ্নকে বাস্তব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জামুইয়ের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা সীমা। বছর দু’য়েক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা বাদ যায় তার। পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু সীমার অদম্য জেদের কাছে হার মানে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। ফের পিঠে ব্যাগ তুলে নেয় সে। এক পায়েই ভর করে এক কিলোমিটার দূরের স্কুলে পড়তে যায় সীমা। তার স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার। তার সেই স্বপ্নের উড়ানে এখন সওয়ারি অনেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy