দিল্লিতে জলের হাহাকার। ছবি: পিটিআই।
জলসঙ্কটে ভুগছে দিল্লি। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত জলের বন্দোবস্ত করতে পড়শি রাজ্যগুলির কাছে হাত পাততে হয়েছে রাজধানীকে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, তাদের কাছে বাড়তি জল নেই। এর আগে হিমাচল অন্য একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাদের কাছে ১৩৬ কিউসেক বাড়তি জল রয়েছে, যা দিল্লিকে দেওয়া যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সেই বয়ান বদল করা হল।
বৃহস্পতিবার হিমাচলের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি সরকারকে আপার যমুনা রিভার বোর্ডের (ইউওয়াইআরবি) কাছে জল সরবরাহের জন্য আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে মানবিকতার খাতিরে জলের জন্য বোর্ডের কাছে আবেদনপত্র দিতে বলা হয়েছে দিল্লি সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি বড়ালের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যমুনার জল বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ভাগাভাগি করতে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা দরকার হয়, তা আদালতের নেই। তার ভার ইউওয়াইআরবি-র উপরেই ছাড়া উচিত। ১৯৯৪ সালে সকল পক্ষের সম্মতিক্রমে এই বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল।
এর আগে ইউওয়াইআরবি সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামায় হরিয়ানা সরকারকে দেওয়া হিমাচলের একটি চিঠির উল্লেখ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, হিমাচলের ১৩৬ কিউসেক উদ্বৃত্ত জল বাধাহীন ভাবে হথিনী কুণ্ড ব্যারেজে রয়েছে। ওই ব্যারেজ রয়েছে হরিয়ানায়। দিল্লির জলসঙ্কট মেটাতে হরিয়ানা ওই জল ছাড়তে পারে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। হিমাচল সরকার বৃহস্পতিবার আদালতে জানিয়েছে, তাদের হাতে বাড়তি জল নেই। ইউওয়াইআরবি-র হস্তক্ষেপেই দিল্লিতে জল পৌঁছতে পারে।
এর আগে দিল্লির আপ সরকারের তরফে মন্ত্রী অতিশী জানিয়েছিলেন, হরিয়ানা সরকার জল না ছাড়ার কারণেই দিল্লিতে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অতিশী জানান, মুনক খালের মাধ্যমে ১০৫০ কিউসেক জল পাওয়ার কথা দিল্লির। কিন্তু সেই পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে না। পরিবর্তে ৮৪০ কিউসেক জল দেওয়া হচ্ছে। ‘জল মাফিয়া’র অভিযোগও করে আপ। সময় যত এগিয়েছে, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy