তাঁর কোনও বোন নেই, কিন্তু ভাগ্নে-ভাগ্নি প্রচুর৷ এত দিন তাদের শুধু প্রকাশ্য সভায় দেখা যেত৷ স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানেও তারা কয়েক বার "মামা" ডেকে সেলফি তুলেছে৷ দু’-চার জন আবার ‘মামা’র কাছে চিঠি লিখে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেদের দাবি মিটিয়ে নিয়েছেন৷ এরা সবাই ছিল শিশু-কিশোর৷ কিন্তু আজ শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বক্তৃতা করতে উঠতেই ছাত্রছাত্রী-গবেষকেরা 'মামা-মামা’ বলে আওয়াজ তোলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে বেশ উপভোগ করেন৷
গত বছর মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কিশোর-কিশোরীদের ‘মামা’ হয়ে ওঠেন৷ যেখানে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছেন, নিজেই খোঁজ করেছেন ভাগ্নে-ভাগ্নিরা কোথায়৷ ভোটের প্রচারে তাঁর জনপ্রিয়তার পারদ বেশ চড়ে৷ কিন্তু মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক তো আর ভোটভিত্তিক হতে পারে না! তাই ‘মামা’ সম্বোধনটা রয়েই গিয়েছে৷
তবে এত দিন তা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতেই সীমিত ছিল৷ গত বারের বরাক সফরে তাই তাঁকেই ভাগ্নেদের খোঁজ নিতে হয়েছিল৷ হিমন্ত ধরে নিয়েছিলেন, বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকায় এ ভাবে আপন হওয়া যাবে না৷ এ বার তাই তাঁর ৫৮ মিনিটের বক্তৃতার শুরুতে প্রায় ১০ মিনিট বাংলায় বলেন৷ কিন্তু এ দিন তাঁর ভুল ভাঙে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-গবেষেকরা ‘মামা’ ডেকে বরাক-ব্রহ্মপুত্র একাকার করে দিলেন৷ দাবি জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের বাইক দিতে হবে৷ মামার বাড়ির আবদার বলে এড়িয়ে যাননি হিমন্ত৷ বললেন, বুলেট না দিলেও আগামী বাজেট প্রস্তাবে তাঁদের জন্য একটা ঘোষণা থাকবে৷