ছবি: পিটিআই।
বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর সরকার— দু’টোতেই ফের বদল হতে চলেছে।
দলীয় সূত্রের বক্তব্য, বছরের শেষে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। সামনের বছরের গোড়ায় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বিজেপি সভাপতি পদেও বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শেষ মুহূর্তে বড় কোনও বদল না-হলে অমিত শাহের পরিবর্তে বিজেপি সভাপতি হতে পারেন জগৎপ্রকাশ নড্ডা। এখন যিনি কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। বিজেপির মতে, মকর সংক্রান্তির পর ‘শুভদিন’ দেখে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর নড্ডাও নতুন ভাবে ঢেলে সাজাবেন তাঁর টিম।
আর সে ক্ষেত্রে কিছু নেতাকে দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে মোদীর মন্ত্রিসভাতেও আনা হতে পারে। আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। সব মন্ত্রকের সচিবও উপস্থিত থাকবেন সে বৈঠকে। সারা দিন ধরে মন্ত্রক ধরে ধরে প্রেজেন্টেশন পেশ করা হবে। আগামী সাড়ে চার বছরে কী কাজ করতে হবে, সেই ‘হোমওয়ার্ক’ও মন্ত্রীদের দেওয়া হবে। তবে বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজের মন্ত্রীদের মূল্যায়নের কাজটিও করে ফেলতে চান। কয়েক মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভাতেও একটি রদবদল করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহিলাদের ভয় কাটাতে দেশ জুড়ে ‘প্রাইড ওয়াক’-এর আয়োজন করবে মহিলা কমিশন
অর্থনীতির বেহাল দশা নির্মলা সীতারামনের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু বাজেট নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাজেটের আগে সে মন্ত্রকে হাত দিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। তবে এর মধ্যেই জল্পনা চলছে, কে ভি কামাথের মতো কোনও পেশাদারকে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে এনে রাশ টানার চেষ্টা করা হতে পারে। শিবসেনা এনডিএ ছাড়ার পর মন্ত্রিসভাতেও নতুন নেতাকে শামিল করা যায়। নীতীশ কুমারও চাইছেন, তাঁর দলের পক্ষ থেকে কাউকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিল করতে। এডিএমকেও নিজেদের প্রতিনিধি চায় মন্ত্রিসভায়।
বিজেপি বলছে, এই সব বদল কবে হবে, কী ভাবে হবে, তা জানেন প্রধানমন্ত্রীই। তিনিই স্থির করবেন সব কিছু। আর নড্ডা নতুন সভাপতি হলেও অমিত শাহের হাত থেকে ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যাবে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। রাজ্যে-রাজ্যে সভাপতি বদল থেকে সংগঠনে রদবদল কী ভাবে হবে, তাতেও বিলক্ষণ থাকবে শাহের ছাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy