Advertisement
E-Paper

বচসার মাঝেই প্রেমিকাকে খুন, পচন আটকাতে দেহে রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে! তিন মাস পর ধৃত প্রেমিক

পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, সিন্থিয়াকে খুন করতে চাননি তিনি। বচসার সময় আচমকাই ঘটে যায় ঘটনাটি। তাতে ভয় পেয়ে যান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৭
Homeopath doctor who killed his girlfriend, sprayed chemical for avoid foul smell, arrested

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তিন মাস আগে প্রেমিকাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার চেন্নাইয়ের এক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। অভিযোগ, মৃতদেহে যাতে পচন না ধরে, সেই কারণে তাতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক স্প্রে করেছিলেন অভিযুক্ত। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক চিকিৎসককে জেরায় মিলেছে খুনের কারণ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম স্যামুয়েল সাম্পাথ। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। তিন মাস আগে তাঁর বান্ধবী সিন্থিয়াকে (৩৭) চেন্নাইয়ে তাঁর ভাড়া করা ফ্ল্যাটে এসে থাকতে বলেন। সিন্থিয়ার বাবা স্যামুয়েল শঙ্কর অসুস্থ। ডায়ালেসিসের প্রয়োজন ছিল তাঁর। সেই কারণে বাবাকে নিয়ে প্রেমিকের ফ্ল্যাটে এসে থাকা শুরু করেছিলেন সিন্থিয়া। অভিযোগ, বাবার চিকিৎসা নিয়ে সাম্পাথের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তাঁর। তখনই সিন্থিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন তাঁর প্রেমিক। মাথায় চোট পান এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার।

পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, সিন্থিয়াকে খুন করতে চাননি তিনি। বচসার সময় আচমকাই ঘটনাটি ঘটে যায়। তাতে ভয় পেয়ে যান সাম্পাথ। দেহে যাতে পচন না ধরে এবং দুর্গন্ধ না বার হয়, সেই কারণে তাতে রাসায়নিক ছড়িয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র চালিয়ে ফ্ল্যাট ছেড়ে পালান ওই চিকিৎসক। ফ্ল্যাটের এক ঘরে ছিলেন সিন্থিয়ার বাবা। অসুস্থতার কারণে বিছানা ছেড়ে ওঠার ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। চিকিৎসার অভাবে দিন কয়েক আগে ঘরের মধ্যেই মৃত্যু হয় শঙ্করের।

ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় প্রথম দিকে প্রতিবেশীদের কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু দিন দুয়েক ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বার হতে থাকে। তখনই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মহিলা এবং বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে। মেলে মৃতার মোবাইল ফোনও। সেই ফোনের সূত্র ধরেই সাম্পাথের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে ভেঙে পড়েন সাম্পাথ। স্বীকার করেন খুনের কথা। আদালতে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।

Murder Case Chennai Death arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy