Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
National News

মেয়ে? ওদের আমি বিছানায় দেখেছি, বলছেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী

বিশ্বাসের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কখনই একসঙ্গে থাকতে পারেননি তিনি। বরং রাম রহিমের বিলাসবহুল ‘গুফা’য় তাঁর স্ত্রী থাকতেন ‘বাবা’র সঙ্গে। হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্কও ছিল রাম রহিমের, এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। ছবি: হানিপ্রীতের ফেসবুক পেজের সৌজন্য।

‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। ছবি: হানিপ্রীতের ফেসবুক পেজের সৌজন্য।

সংবাদ সংস্থা
সিরসা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ১১:৫৭
Share: Save:

গুরমিতের পর ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান হিসাবে তাঁর নাম বারে বারেই উঠে এসেছে। তিনি হানিপ্রীত ইনসান। রাম রহিমের দত্তক মেয়ে। কিন্তু, সেই হানিপ্রীতের জীবনও কম রহস্যে মোড়া নয়! পালিত মেয়ের সঙ্গেই নাকি শারীরিক সম্পর্ক ছিল ‘বাবা’র! এবং সেই সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরেই এমন অভিযোগ করেছেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত।

১৯৯৯তে বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতের বিয়ে হয়। তখন হানিপ্রীতের নাম ছিল প্রিয়ঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস এবং প্রিয়ঙ্কার দুই পরিবারই রাম রহিমের ভক্ত। বিশ্বাসের স্ত্রী হিসেবেই প্রিয়ঙ্কার পরিচয় হয় রহিমের সঙ্গে। তখনই নাকি ‘বাবা’র নজরে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। এর পর ২০০৯-এ প্রিয়ঙ্কাকে দত্তক নেন ‘বাবা’। সেই সময়েই নাম পাল্টে যায় প্রিয়ঙ্কার। নতুন নাম হয় হানিপ্রীত ইনসান। রাম রহিম ওই নামেই ডাকতেন ‘মেয়ে’কে। তার পর থেকেই ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। এর পর বিদ্যুত্ গতিতে উত্থান হানিপ্রীতের।

আরও পড়ুন

গুরমিতকে নিয়ে মুখ খুলবেন অনেক নির্যাতিতা, দাবি ডেরা সদস্যদেরই

বিশ্বাসের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কখনই একসঙ্গে থাকতে পারেননি তিনি। বরং রাম রহিমের বিলাসবহুল ‘গুফা’য় তাঁর স্ত্রী থাকতেন ‘বাবা’র সঙ্গে। হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্কও ছিল রাম রহিমের, এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি। বিশ্বাসের কথায়: “আমি তখন ‘গুফা’য় বাবার ঘরে থাকতাম। আমার স্ত্রী-ও বাবার সঙ্গে ছিল। এক দিন অসাবধানবশত বাবার ঘরের দরজা খোলা ছিল। দেখলাম, বাবা আর আমার স্ত্রী সঙ্গমে লিপ্ত। আমাকে দেখে ওঁরা তো একেবারে থ! এর পর থেকেই বাবা আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। বলেন, এ নিয়ে মুখ খুললে আমাকে মেরে ফেলবেন।”

আরও পড়ুন

‘বাবা’র মতোই বর্ণময় চরিত্র, কে এই হানিপ্রীত

বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, আদালতে সওয়াল কেন্দ্রের

‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছিলেন বলে দাবি তাঁর স্বামীর। ছবি: সংগৃহীত।

২০১১-তে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন বিশ্বাস। হানিপ্রীতও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবির অভিযোগ করেন। সে বছরই হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় বিশ্বাসের। হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় স্ত্রী ও ‘বাবা’র বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ফিরিয়ে নেন বিশ্বাস। আদালতের বাইরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। তবে তাতেও রাগ কমেনি বিশ্বাসের। তাঁর দাবি, “হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার পিছনেও বাবার অন্য উদ্দেশ্য ছিল। আমার স্ত্রী সুন্দরী হওয়ায় তাঁকে ভোগ করতে চেয়েছিলেন বাবা।”

সিরসার ডেরা ছেড়ে আপাতত আত্মগোপন করেছেন বিশ্বাস। তবে এখনও খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE