প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কাশ্মীরে নিজের বাড়ির সামনেই হুরিয়ত নেতা হাফিজুল্লা মিরকে গুলি করে খুন করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে চলতি বছরে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হলেন তিন জন হুরিয়ত নেতা।
সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী হুরিয়তের নেতা হাফিজুল্লা কার্যত গোটা দক্ষিণ কাশ্মীরে সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়তের দাবি, মিরকে গত এক মাস ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর বাড়ির চারপাশে কিছু সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করছিল। তারা ওই হুরিয়ত নেতার বাড়ি এসে গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ নেয় বলেও দাবি হুরিয়তের। আজ অনন্তনাগের বদরু-আকিনগাম এলাকায় মিরের বাড়ির সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তিন আততায়ী। হামলায় তাঁর স্ত্রীও আহত হন। মিরকে অনন্তনাগ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কাশ্মীরে ২০১০ ও ২০১৬ সালের বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মির। তাঁর হত্যায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত আছে বলে দাবি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনের। তার মতে, কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে’র নেতৃত্বকে নিশানা করা শুরু করেছে ভারত। এ থেকেই বোঝা যায় কাশ্মীরে ভারতীয় নীতি ব্যর্থ হয়েছে। নাম না করেই এই ঘটনার জন্য ভারতকে দায়ী করেছে হুরিয়তও। হুরিয়তের শরিক জামাত-ই-ইসলামি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ‘প্রকৃত প্রতিনিধি’দের মুখ বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে একের পর এক নেতাকে নিশানা করছে আততায়ীরা। তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দাবি, জঙ্গিরাই মিরকে খুন করেছে।
এ দিন দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে চার জঙ্গি। মৃত্যু হয়েছে সেনার এক প্যারা কম্যান্ডোরও। আহত তিন সেনা। বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে আহত হয়েছে তিন বালিকা। অন্য দিকে পুঞ্চ ও রাজৌরিতে পাক হামলায় আহত হয়েছেন দুই সেনা।
হিংসার মধ্যেই আজ পঞ্চােয়ত নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্তীসগঢ়ে লড়াই হয়েছে বুলেট-ব্যালটের। ব্যালটের জয় হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy