বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে স্ত্রীকে মারায় অভিযুক্ত স্বামী। — প্রতীকী ছবি।
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম জমে উঠেছে। কিন্তু বাড়িতে যে বৌ রয়েছে! উপায় বার করলেন পেশায় বেসরকারি হাসপাতালের নার্স স্বামী। বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মারলেন স্ত্রীকে। তার পর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে রটিয়ে দিলেন। সফল হয়নি নাটক। ধরা পড়ে আপাতত হাজতে ঠাঁই হয়েছে মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার বাসিন্দা স্বপ্নিল সবন্তের।
হাসপাতালেই এক সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বপ্নিল। দু’জনে বিয়ে করার পরিকল্পনাও করেন। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান স্বপ্নিলের বৌ, প্রিয়ঙ্কা। মাস পাঁচেক আগেই বিয়ে করেন তাঁরা। তার পরেই স্বপ্নিল ছক কষেন প্রিয়ঙ্কাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার।
গত ১৪ নভেম্বর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বপ্নিল হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পাওয়া যায় একটি ‘সুইসাইড নোট’ও। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমে বুঝতে পারে এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য আরও কিছু।
পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারে, স্বপ্নিল যে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন, সেখানে বেশ কিছু বিষাক্ত ইঞ্জেকশনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজ বলে দেয়, হাসপাতালের ভাঁড়ার থেকে বিষাক্ত ‘ভেক্যুরোনিয়াম ব্রোমাইড’, ‘নাইট্রোগ্লিসারিন’ ইঞ্জেকশন চুরি করছেন স্বপ্নিল। আরও গভীরে ঢুকতে পুলিশ জানতে পারে, হাসপাতালেরই এক নার্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্বপ্নিল। তার পরেই পুলিশের কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়, আত্মহত্যা নয়, প্রিয়ঙ্কাকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরেছেন তাঁর স্বামী স্বপ্নিলই।
পুণে পুলিশের ইন্সপেক্টর মনোজ যাদব জানিয়েছেন, স্বপ্নিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy