প্রতীকি ছবি।
‘তোদের অনেক বকাবকি করেছি। ক্ষমা করে দিস।’ বোনেদের চিঠি লিখে গেলেন দাদা। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন হায়দরাবাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্র।
নাগারকুর্নুল জেলার বছর ১৮-এর শিবা নাগু পড়তেন হায়দরাবাদের ভিএনআর বিজ্ঞান জ্যোতি ইন্সস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে। সেখানেই ছাত্রাবাসে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ১২ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নাগা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও ময়নাতদন্তের পরই তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ‘সুইসাইড নোট’। তাতে বোনেদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাগা লিখেছেন, ‘তোদের অনেক বকাবকি করেছি, পারলে ক্ষমা করে দিস। মা-বাবা, তোমাদের খুব ভালবাসি।’
শিবার পরিজনেরা জানাচ্ছেন, এর আগে স্কুলে পড়তে একাধিক বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন। মৃত ছাত্রের বাবা সিআরপিএফ কর্মী। ‘সুইসাইড নোট’-টি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে ছাত্রের আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দ চরমে। শিবার বন্ধু ও পরিজনদের একাংশের দাবি, কলেজের অতিরিক্ত চাপের কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন শিবা। তাঁরা কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy