ভর সন্ধেয় প্রকাশ্যে বন্ধুকে খুন, হাঁ হয়ে দেখল পুলিশ, আর ছবি তুলল পথচারীরা

দুই অটোতে জোর রেষারেষি। তার পরেই দুই ড্রাইভার এসে দাঁড়ালেন ভিড়ে ঠাসাঠাসি বাজারের ঠিক সামনে। এক জন অটো থেকে নেমেই চড়াও হলেন আর এক জনের উপর। মাংস কাটার ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ বসাতে লাগলেন বন্ধুর ঘাড়ে, মাথায় আর বুকে।

ঘটনাটি বুধবার রাতে হায়দরাবাদে চারমিনারের ঠিক পাশেই একটি বাজারের সামনে ঘটে। পথচারীরা কেউ দেখে বেরিয়ে গেলেন। কেউ আবার ভিডিয়োও করলেন। কিন্তু সাহস করে কেউ হামলা থামাতে এগিয়ে এলেন না। নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেল বেশ কিছু পুলিশ কনস্টেবলকেও। কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই শেয়ার করে দিয়েছেন নৃশংস হত্যার এই ভিডিয়ো। সে ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরালও হয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ বছরের আব্দুল খাজা হামলা করেন তাঁরই বন্ধু এবং অটো ড্রাইভার শাকির কুরেশিকে। বেশ কিছু পুলিশ কনস্টেবলও হাজির ছিলেন ঘটনাস্থলে। কিন্তু হামলা থামানোর কোনও চেষ্টাই করতে দেখা যায়নি পুলিশের তরফে। হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, দশ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই অটো চালকের বিরুদ্ধে।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

ভাইরাল হয়েছে আরও একটি ভিডিয়ো। সে ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মৃত শাকিলের ঠিক পাশেই বসে রয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুল খাজা। আব্দুলের জামা রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছে। আর আব্দুল তখন চিৎকার করতে করতে বলছে, ‘‘আমার মা-বোনকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার ফল ভোগ কর। আমার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য আমি যা-খুশি সাজা দিতে পারি।’’

আরও পড়ুন: চার দশকে ৯০ খুন! ভয়ঙ্করতম এই খুনিকে নিয়েই তোলপাড়

আরও পড়ুন: সরকারের হাতেই শিশুপুত্রকে তুলে দিল ধর্ষিত কিশোরী

হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত আব্দুল খাজা সে সময়ে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। পুলিশের বক্তব্য, ‘‘নিজের বেশ কয়েকটি অটো ভাড়ায় খাটান আব্দুল। তারই একটি ভাড়ায় চালাতে দিয়েছিলেন কুরেশিকে।’’

(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)