তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি। শুধু তা-ই নয়, ট্রাকচালক অপহরণে তাঁদের কোনও যোগ নেই। বৃহস্পতিবার এই মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরই দাবি পূজা খেড়করের মা মনোরমার। পাল্টা তাঁর অভিযোগ, খেড়কর পরিবারকে পুলিশ ফাঁসাতে চাইছে। এর পরই মনোরমা বলেন, ‘‘আমরা কোনও অপরাধ করিনি। তা হলে অযথা ভয় পেতে যাব কেন?’’
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রাবেল থানায় হাজির হয়েছিলেন মনোরমা। ট্রাকচালককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল পূজার বাবা দিলীপ এবং তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। আর এই কাজে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে মনোরমার বিরুদ্ধেও। সেই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দিলীপ এবং মনোরমা। তাঁদের দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করতে পারলেও হদিস মিলছিল না খেড়কর দম্পতির। শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করে পুলিশ। আগাম জামিনের আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনোরমা এবং দিলীপ। নভি মুম্বইয়ের বেলাপুর আদালত মনোরমাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয়। তবে দিলীপের জামিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
জামিন পেয়ে বৃহস্পতিবার রাবেল থানায় হাজির হন মনোরমা। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, মনোরমা তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছেন না। যদিও মনোরমা দাবি করেছেন, পুলিশকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছেন। তবে পুলিশ তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। মনোরমার কথায়, ‘‘মামলাটি বিচারাধীন। পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করব না কেন? আমি নিজেই থানায় এসেছি।’’ এর পরই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি কোনও অপরাধ করিনি। অতএব ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।’’
আদালতে মনোরমা এবং দিলীপের জামিনের বিরোধিতা করেছিল পুলিশ। যদিও মনোরমার জামিন আটকাতে পারেনি তারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আদালতে পুলিশ দাবি করে, মনোরমা এবং দিলীপকে জামিন দিলে তাঁরা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি মহারাষ্ট্রের পুণের অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসাবে নিযুক্ত পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়িতে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিকার, লালবাতি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলাশাসকের কক্ষ ‘দখল’ করা এবং জেলাশাসকের সহকারীর কাছে বেআইনি দাবিদাওয়া পেশ করে সেই দাবি পূরণের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। তার পর পূজার একের পর এক ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে!