বাড়িতে ঢুকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছিল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক এম এম কালবুর্গিকে। সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশকেও গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। এ বার সেই কর্নাটকেই মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে তীব্র উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন এক বিজেপি বিধায়ক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে বিদ্বজ্জনদের গুলি করে মারার নির্দেশ দিতেন বলে মন্তব্য করলেন বিজয়পুরার বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাটিল ইয়াৎনাল। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইয়াৎনালের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিএস উভয় দলই।
বৃহ্স্পতিবার ছিল কার্গিল বিজয় দিবস। নিজের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইয়াৎনাল। সেখানে জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘এই সব লোকেরা (যুক্তিবাদী ও মুক্তমনা) আমাদের দেশে থেকে আমাদের দেওয়া করের টাকায় সমস্ত সুযোগ সুবিধা নেয়। তারপর ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। দেশের জন্য এই সুশীল সমাজ ও ধর্মনিরপেক্ষতার চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে এই সব বুদ্ধিজীবীদের গুলি করার নির্দেশ দিতাম।’’ যুক্তিবাদী ও মুক্তমনাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিতেও ছাড়েননি ইয়াৎনাল। মঞ্চের নীচে বসা জনতাও নেতার ভাষণে ফেটে পড়েন করতালিতে।
একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বরাবরই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে ইয়াৎনালকে। কিন্তু আচমকা যুক্তিবাদীদের এমন কদর্য আক্রমণ কেন? কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার মিডিয়া উপদেষ্টা আমিন মাট্টু সম্প্রতি বলেন, পরিবারের আর্থিক সমস্যা দূর করতে যুব সম্প্রদায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। এঁদের অনেকে দেশের জন্য প্রাণ দেন। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য।