পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুললেন খোদ জেলাশাসক। বিষয়টি জানিয়ে প্রমাণ-সহ মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখলেন বিহারের সারনের জেলাশাসক দীপক আনন্দ। গোটা বিহার জুড়েই বালি তোলার উপরে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও শোন নদী থেকে নিয়মিত বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেন জেলাশাসক। সেই তদন্তেই ২০০৬ ব্যাচের আইপিএস, জেলার পুলিশ সুপার পঙ্কজ রাজের বিরুদ্ধে বালি তোলায় প্রকাশ্যে মদত দেওয়ার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা সহজ। তাই এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। দফতরের কর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ জেলাশাসক দীপক আনন্দ অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রিপোর্ট জমা দিয়েছি। সরকারি বিষয় নিয়ে মুখ
খুলতে চাই না।’’
গত কয়েক দিন ধরে সারনের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহণ দফতরের তরফে অভিযান চালানো হচ্ছিল। তাতেই বেশ কয়েকটি বালি ভর্তি লরি ও ট্রাক্টর আটক করে জেলা প্রশাসন। চালক-খালাসিদের জেরা করে জানা যায় কোনও বৈধ চালান ছাড়াই বালি বহন করছিল তারা। এরপরেই জেলাশাসক নিজে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। লরি এবং ট্রাক্টর চালক-খালাসি থেকে শুরু করে মালিক, সকলেই পুলিশকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানান।
জেলাশাসকের দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, ল্যামিনেট করে মার্কিং করা ২০ টাকার নোটকে বালি পাচারকারীরা পাশ হিসেবে ব্যবহার করছিল। তারপরেই বিশদ তদন্ত করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্ট পটনায় মুখ্যসচিব অঞ্জনীকুমার সিংহের কাছে গত কাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যে ছিলেন না। আজ ফিরেছেন। বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ কর্তারা। সাধারণ ভাবে রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টি
‘আইএএস বনাম আইপিএস’ অফিসারে লড়াই হিসেবে দেখছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘কয়েক লক্ষ টাকা ডোনেশন দিয়ে জেলায় পোস্টিং নেন পুলিশ কর্তারা।
যদি টাকা আয় না করতে পারেন তবে খরচ করবেন কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy