দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা প্রবেশের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় মৌসম ভবন (আইএমডি)। তারা জানিয়েছে, ২৭ মে কেরলে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষার প্রবেশদ্বার ওই রাজ্য। সরকারি হিসেবে, ১ জুনকে দেশে বর্ষা প্রবেশের দিন হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। সেই তুলনায় এ বার কি সময়ের আগেই প্রবেশ করছে বর্ষা! এই ঘটনা যদিও ব্যতিক্রম নয়। মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় প্রতি বছরই সময়ের কিছু আগে বা কিছু পরে দেশে বর্ষা প্রবেশ করে। তবে গত ১০ বছরে সরকারি ভাবে নির্ধারিত সময়ের এতটা আগে বর্ষা দেশে প্রবেশ করেনি।
মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে দেশে বর্ষার প্রবেশের দিনক্ষণ প্রায়ই বদলে গিয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে বর্ষা প্রবেশ করে সরকারি ভাবে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে। ৩০ মে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে। ২০২৩ সালে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৮ জুন। ২০২২ সালে ২৯ মে, ২০২১ সালে ৩ জুন, ২০২০ সালে ১ জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। ২০১৯ সালে আবার সময়ের বেশ খানিকটা পরে দেশে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। সে বছর ৮ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছিল। ২০১৮ সালে ২৯ মে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। ২০১৭ সালে মে মাসেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। সে বার তারিখ ছিল ৩০ মে। ২০১৬ এবং ২০১৫ সালে বর্ষা একটু দেরিতেই প্রবেশ করেছিল দেশে। ২০১৬ সালে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৮ জুন। ২০১৫ কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৫ জুন।
ভারতে এই বর্ষার প্রবেশের উপর অনেকইটাই নির্ভর করে খারিফ শস্যের উৎপাদন। নির্ধারিত হয় কৃষকদের ভাগ্য, কৃষি সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন। বলতে গেলে, ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে এই বর্ষার উপরে। দেশে সারাবছর যত বৃষ্টিপাত হয়, তার ৭০ শতাংশই হয় এই মরসুমে। আর এই মরসুমের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে দেশের কৃষি উৎপাদনের ৫০ শতাংশ। সেই কৃষির উপর নির্ভর করে জীবন চলে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের।