আবার সেই গাইসাল! এ বার এই স্টেশনে তড়িঘড়ি ট্রেন দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচালেন চালক। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে মালদহগামী একটি লোকাল ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। দেখতে পেয়েই গাইসাল স্টেশনের কাছে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন চালক। তাঁর তৎপরতায় ট্রেন থেকে দ্রুত নেমে পড়ে রক্ষা পান যাত্রীরা।
মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে মালদহের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল লোকাল ট্রেনটি। পথে ওই ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি চালককে জানান ট্রেন ম্যানেজার (গার্ড)। চালক গাইসাল স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। আতঙ্কিত যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এলাকার মানুষজন খবর দেন দমকল বিভাগে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরপিএফ অফিসার রীতেশকুমার শর্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কী ভাবে মালদহগামী ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইঞ্জিনের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। ট্রেনটিতে আগুন লাগার পরে ওই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে রাজধানী এক্সপ্রেস। এক আরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, মালদহগামী ট্রেন থেকে নেমে লাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনা এড়াতেই রাজধানী এক্সপ্রেস কিছু ক্ষণের জন্য দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
প্রায় ২৬ বছর আগে এই গাইসালেই ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের গঞ্জ গাইসালের নাম জেনে গিয়েছিল গোটা দেশ। ১৯৯৯ সালের ১ অগস্ট গভীর রাতে অবধ-অসম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছিল। সরকারি পরিসংখ্যান বলে, ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৩০০ যাত্রীর। বেসরকারি সূত্রের দাবি ছিল, মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার।