দুর্গা বিসর্জনে যেন দু’দেশের মিলনক্ষেত্র হল কুশিয়ারা নদী। এক দিকে করিমগঞ্জ, অন্য দিকে বাংলাদেশের জকিগঞ্জ— দু’টি জায়গার মাতৃমূর্তি বিসর্জন দেওয়া হল ওই নদীতে।
এ বার নদীর দু’তীরে প্রচুর ভিড় জমেছিল। বিসর্জনের আগে ঘাটে দর্শনার্থীদের বসার জায়গা তৈরি করেছিল জকিগঞ্জ পুরসভা। কুশিয়ারা নদীর এ পার থেকে বাংলাদেশ প্রশাসনের তৈরি সুসজ্জিত ওই মঞ্চ সকলের নজর কেড়েছে। ঘাটের কাছে নৌকায় দাঁড়িয়েছিলেন সে দেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। লাউডস্পিকারে বাজছিল ভক্তিমূলক সঙ্গীত।
বিসর্জনের সময় বাংলাদেশের নাগরিকদের উল্লাস দেখে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বিএসএফের নৌকা নিয়ে কুশিয়ারা নদীর মাঝখানে যান। মাঝনদীতে নৌকায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অভিনন্দন জানান। বিধায়ক পরে বলেন, ‘‘বিসর্জনের সময় কুশিয়ারা নদী দু’দেশের দূরত্ব অনেকটা কমিয়ে দেয়।’’ করিমগঞ্জের কালীবাড়ির বিসর্জনঘাটে গত কাল রাত ৩টে পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। স্টেশন রোড থেকে দশমীঘাট পর্যন্ত হাজার হাজার লোক রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা দেখেন। পুজোয় সময় সপ্তমীর রাতে প্রবল বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছিলেন পুজোপ্রেমী মানুষ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জল জমা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy