ঠিক ছিল আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিনি ঘোষণা করবেন, তাঁর রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার দিনক্ষণ। কিন্তু তার দু’দিন আগেই রজনীকান্ত জানালেন, শরীর বাধ সেধেছে। তাই এখনই রাজনীতিতে আসছেন না তিনি। তাঁর রাজনীতিতে না-আসার কারণ উল্লেখ করে টুইটারে আজ নিজের লিখিত বক্তব্য পোস্ট করেছেন এই দক্ষিণী সুপারস্টার। তাঁর সাম্প্রতিক অসুস্থতাকে ‘ঈশ্বরের সাবধানবাণী’ হিসেবে দেখছেন রজনীকান্ত।
থালাইভার আজকের সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনীতির অলিন্দে জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, শুধু শারীরিক কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত? নাকি দ্রাবিড় রাজনীতির সমীকরণ সহজ নয় বুঝেই সরে গেলেন রজনীকান্ত।
বছর চারেক আগে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে রজনীকান্তের। তাই ৭০ বছরের এই দক্ষিণী সুপারস্টারকে ভোট ময়দানে নামতে দিতে বরাবরই আপত্তি ছিল তাঁর চিকিৎসকেদের। কিন্তু আপত্তিকে গুরুত্ব না-দিয়ে রাজনীতিতে আসার কাজ এবং শ্যুটিং সমান ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন থালাইভা। শ্যুটিং শুরু করেছিলেন তাঁর ১৬৮ নম্বর ছবি ‘অন্নাথে’-র। হায়দরাবাদে শুটিং চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রজনীকান্ত। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। গত পরশু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। তাঁর বিবৃতিতে রজনীকান্ত লিখেছেন, ‘‘আমার হাসপাতালে ভর্তি হওয়াটা ঈশ্বরের সাবধানবাণী। অতিমারি পরিস্থিতি আমার শরীরের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।’’