—প্রতীকী ছবি।
খাবারের মেনুতে প্রতি দিনই থাকত একটি করে লোহার পেরেক! মাসের পর মাস ওই ভাবে পেরেক খেয়ে গিয়েছেন তিনি। অবশেষে মাস খানেক আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক জটিল অস্ত্রোপচারে প্রদীপ ঢালি নামে এক ব্যক্তির পাকস্থলী থেকে বের করা হয়েছিল ৬৩৬টি পেরেক!
প্রেক্ষাপট ও ঘটনাক্রম আলাদা হলেও এ বার প্রায় সেই একই রকম ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের রেয়া জেলায়। বিরল অস্ত্রোপচারে ৩২ বছরের মহম্মদ মকসুদের পেট থেকে বের হল ৫ কেজি লোহার চেন ও কাচের টুকরো, ২৬৩টি পয়সা, শেভিং ব্লেড এবং সূচ।
আরও পড়ুন: পাকস্থলী থেকে মিলল ৬৩৬টি পেরেক!
মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার সোভালে থাকেন মহম্মদ মকসুদ। গত ছ’মাস ধরে প্রবল পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। নিয়মিত স্থানীয় চিকিৎসকদের ওষুধ খেলেও কমছিল না পেটের যন্ত্রণা। অবশেষে গত ১৮ নভেম্বর রেয়া জেলার সঞ্জয় গাঁধী মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মহম্মদের পেটের এক্স-রে করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এক্স-রে রিপোর্ট দেখেই চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা শর্মা জানান, মহম্মদের এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায় তাঁর পেটের মধ্যে কিছু ধাতব পদার্থ রয়েছে। এরপরেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফ্রিতে ফলের রসের আবদার, ফলাফল খুন
তড়িঘড়ি ৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর মকসুদের পেট থেকে পাওয়া যায় ১২টি শেভিং ব্লেড, ৪টি বড় সূচ, একটি চেন, ২৬৩টি পয়সা এবং অন্তত ৫ কেজির কাচের টুকরো। কিন্তু কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল? ওই ধাতব পদার্থগুলি কী ভাবেই বা মকসুদের পেটে গেল?
চিকিৎসক শর্মা জানাচ্ছেন, সম্ভবত লুকিয়ে ওই জিনিসগুলি খেতেন মহম্মদ। তবে এ বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মকসুদের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বিশেষজ্ঞরা তাঁর অবস্থার উপর নজর রাখছেন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়ে ওঠা পর্যন্ত তাঁকে এ বিষয়ে কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব নয়, বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy