Advertisement
E-Paper

চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজনাথ সিংহ, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে বেজিংকে কী বার্তা নয়াদিল্লির

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ০৯:৫৪
(বাঁ দিকে) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুন (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেই বৈঠকে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য বেজিংকে দিল্লি একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালের ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ (সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো) মেনে চলা, মতানৈক্য নিরসনে প্রতিনিধিস্তরে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ইত্যাদি।

ওই সূত্রের দাবি, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন রাজনাথ। এ-ও জানান যে, সীমান্তপারের সন্ত্রাস মোকাবিলায় এ বার থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো পদক্ষেপ করবে ভারত।

চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন রাজনাথ। সেখানে তিনি জানান, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষই সংঘাত এড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি চায় বলেও জানান রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ছ’বছর পর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা শুরু হওয়ায় তিনি খুশি।

বৈঠকে বিহারের মধুবনী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন রাজনাথ। বৈঠকের নির্যাস জানিয়ে চিনের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত যে কোনও ধরনের সংঘাত এড়িয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এখনও এই বৈঠকের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

বৈঠকে বিহারের মধুবনী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন রাজনাথ। বৈঠকের নির্যাস জানিয়ে চিনের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত যে কোনও ধরনের সংঘাত এড়িয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এখনও এই বৈঠকের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। উত্তেজনার আবহে ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েক জন চিনা সেনাও নিহত হয়েছিলেন।

গালওয়ান-কাণ্ডের পর থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয়েছিল। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে লাদাখের দেপসাং, ডেমচক এলাকা-সহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা সেনা সরানোর বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছোয় ভারত এবং চিন। শুরু হয় ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং সেনা সংখ্যা কমানো বা ‘ডিএসক্যালেশন’-এর কাজ। স্থির হয় ২০২০ সালের মে মাসের আগে দু’দেশের সেনা সীমান্তের যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গায় ফিরে যাবে।

China Border Tension Rajnath Singh Shanghai Cooperation Organization
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy