ডোম্বিবলির সেই বিস্ফোরণস্থল। ছবি: পিটিআই।
ঠাণের ডোম্বিবলির রাসায়নিক কারখানায় বৃহস্পতিবার যে বয়লারটি ফেটে আগুন ছড়িয়েছিল, সেটির কোনও লাইসেন্সই ছিল না! শুক্রবার মহারাষ্ট্র পুলিশের একটি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সূত্র জানাচ্ছে, গত কয়েক বছরে সে রাজ্যের রাসায়নিক কারখানাগুলিতে লাইসেন্সবিহীন বয়লারের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে।
দামে সস্তা হওয়ার কারণেই রাসায়নিক কারখানাগুলির মালিকেরা ক্রমশ লাইসেন্সবিহীন ‘বেআইনি’ বয়লারের দিকে ঝুঁকছেন বলে পুলিশের ওই সূত্র জানাচ্ছে। এর ফলে গত কয়েক বছরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে, ডোম্বিবলির এমআইডিসি ফেজ-২-এ অমুদন কেমিক্যাল কোম্পানির রাসায়নিক কারখানার বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
ঠাণে পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর চোট রয়েছে অন্তত ২০ জনের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কারখানার কয়েক কিলোমিটার দূরের বৃত্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ। ভেঙে পড়ে বাড়ির অংশ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, মলয় মেহতা নামে এক ব্যবসায়ীর মলিকানাধীন ওই কারখানায় পেরোক্সাইডের উপস্থিতি মিলেছে। অতি প্রতিক্রিয়াশীল ওই রাসায়নিক উপযুক্ত সাবধানতা এবং সরঞ্জাম ছাড়া ব্যবহার করা হলে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy