সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।- ফাইল চিত্র।
ডোকলামের মতো পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে ভারতকে আরও পড়তে হতে পারে। কারণ, চিন আমাদের সঙ্গে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাইছে না। সবটুকুই তার নিজের করায়ত্ত করতে চাইছে।
এই অশনি সংকেত দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
সাবিত্রীভাই ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি আলোচনাসভায় এ কথা বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার যে রকম ডোকলাম সীমান্তে চিনের স্থিতাবস্থা নষ্টের চেষ্টার ফলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে আমারা উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে যথেষ্টই। আমার তো মনে হয়, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে। নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে বোঝাপড়ার অভাব থেকেই এটা হচ্ছে। আরও হবে আগামী দিনে।’’
আরও পড়ুন- ‘বাবা’র পালিত কন্যা হানিপ্রীত কি ডেরা-র নতুন দাবিদার? জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন- ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে ১০ কেজির বোমা কাঁধে এক কিমি ছুটলেন ইনি
সেনাপ্রধান অবশ্য এ কথাও জানিয়েছেন, হালে চিনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে ভারতের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, জুন মাসের আগে পরিস্থিতি যা ছিল, দু’পক্ষকেই ওই এলাকা থেকে জওয়ানদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে যে কোনও ঐকমত্যে পৌঁছনো এখনও পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হয়নি, সে কথাও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত।
সেনাপ্রধানের কথায়, ‘‘বিষয়টি এখন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’
আগামী দিনে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ কেন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও মলদ্বীপের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চাইছে চিন। সেই লক্ষ্যেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বানানো হচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)। যার ফলে ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’’
চিন-ভারত যৌথ সেনা মহড়া হয় ফি বছর। এ বার তা হয়নি। ডোকলাম নিয়ে উত্তেজনাই তার কারণ কি না, সেই প্রশ্নে সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘‘তা হতেও পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy