— ফাইল চিত্র।
যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ বিল নিয়ে ফের কেন্দ্রকে দুষলেন বিরোধীরা। শুক্রবার বৈঠকে ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর পর্যবেক্ষণ শুনে বিরোধীরা সরাসরি বলে বসলেন, ‘‘হোয়াট্সঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া তথ্য।’’
শুক্রবার যৌথ সংসদীয় কমিটির ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং এএসআই-এর আধিকারিকরা। এএসআইয়ের উপস্থাপনায় উঠে আসে প্রায় ১৩০টি স্থাপত্য এবং সম্পত্তির কথা, যে গুলি নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে বিতর্ক চলছে। এ ছাড়াও, সংস্কৃতি মন্ত্রকের আধিকারিকেরা দাবি করেন, পছন্দ মতো যে কোনও সম্পত্তি দাবি করতে পারে না ওয়াকফ বোর্ড। তা শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা, মিথ্যা কিংবা ধারণার বশে কোনও মন্তব্য তাঁরা করতে পারেন না। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কিছু সাংসদ এও বলেন, ‘‘এ সব তথ্য হোয়াট্সঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া!’’
শুক্রবার ওই বৈঠকে হাজির ছিল তেলঙ্গানা রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড, জাকাত ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারফেথ কোয়ালিশন। এখনও পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ডগুলি যত বারই কমিটির সামনে উপস্থিত থেকেছে, প্রতি বারই তারা এই নয়া সংশোধনের বিরোধিতা করেছে। বিরোধীদের মতে নয়া সংশোধনী অসাংবিধানিক। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের খসড়া পরিমার্জনের জন্য গড়া হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপির লোকসভা সাংসদ জগদম্বিকা পালকে।
গত ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ওয়াকফ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা মাত্রই সমালোচনায় সরব হন বিরোধীরা। দীর্ঘ বিতর্কের পর শেষমেশ ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি জেপিসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy