এয়ার ইন্ডিয়ার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে তোপ দাগলেন শঙ্করের আইনজীবী। ফাইল চিত্র।
বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে এয়ার ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রর আইনজীবী। গত বৃহস্পতিবারই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি জানিয়ে দেয়, শঙ্কর আগামী চার মাসের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শঙ্করের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, বিমান সংস্থার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
শঙ্করের আইনজীবী ঈশানী শর্মা এবং অক্ষত বাজপেয়ী জানান, প্রস্রাব কাণ্ডের তদন্তে গঠিত এয়ার ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ কমিটি শঙ্করের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার প্রস্তাব করেছে, তা বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র নিয়ম মেনে করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, শঙ্করের এক আইনজীবীর অভিযোগ, বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে ভুল ধারণা থেকে অবান্তর সিদ্ধান্তে এসেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
ওই প্রতিবেদনে শঙ্করের আইনজীবীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “নাইন এ আসনের যাত্রীকে বিন্দুমাত্র বিরক্ত না করেই নাইন সি আসনে বসা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” তার পরই আইনজীবীর প্রশ্ন, তবে কি কাল্পনিক নাইন বি আসনে বসে প্রস্রাব করেছিলেন শঙ্কর? প্রসঙ্গত, ওই বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে এই সংখ্যার কোনও আসন নেই। আদালতে শঙ্কর আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেননি। ওই বৃদ্ধাই প্রস্রাব করে ফেলেন বলে দাবি করেন তিনি। শঙ্করের আইনজীবীও তখন দাবি করেছিলেন যে, যান্ত্রিক ভাবে বন্ধ থাকা আসনে তাঁর মক্কেল কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারতেন না। তাই বৃদ্ধার সামনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অভিযোগকে খারিজ করে দেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক-দিল্লি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মত্ত হয়ে এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শঙ্করের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy