প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা
সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল মোদী সরকারের আয়কর দফতর।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্ট কংগ্রেসের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। কংগ্রেস এই মামলায় ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ সংস্থার বিরুদ্ধে আয়কর দফতরের পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। সনিয়া ও রাহুলই ওই সংস্থার প্রধান অংশীদার। কিন্তু জানুয়ারি মাসে দেওয়া আয়কর দফতরের নোটিসে সনিয়া-রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংস্থাটির মালিকানায় গাঁধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য প্রিয়ঙ্কাও রতনদীপ ও জনহিত নিধি ট্রাস্ট্রের শেয়ার কিনেছেন।
আরও খবর
‘আমার প্রাক্তন আমার বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে কাজ করছে, এটা ভাবি না’
ক’দিন আগেই হরিয়ানায় জমি-বির্তকে রবার্ট বঢরার পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যার জবাবে প্রিয়ঙ্কার দাবি, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া টাকা থেকেই তিনি জমি কিনেছিলেন। এর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বিরোধী দলগুলির পিছনে লাগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধিরই পরিচয় দিচ্ছে বিজেপি। দলের একটি সূত্রের মতে, পরের লোকসভা নির্বাচনে রাজনীতির ময়দানে নামতেও পারেন প্রিয়ঙ্কা। সেটি মাথায় রেখেই বিজেপি তাঁকেও বারবার টেনে আনছে কোনও না কোনও বিতর্কে। সে কারণেই হরিয়ানায় ঢীংগরা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না এলেও সেটি সুকৌশলে ফাঁস করা হয়েছে। আয়কর নোটিসেও তাঁর নাম সামিল করা হয়েছে।
বিজেপি অবশ্য বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে কোনও কাজ করছে না। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সনিয়া-রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা রতনদীপ ও জনহিত নিধি ট্রাস্টের প্রায় ৭৪ হাজার শেয়ার কিনেছেন। তারই সূত্রে আয়কর দফতর যদি কোনও নোটিস পাঠায়, তবে তার মধ্যে রাজনীতিটা কোথায়? মামলা চলছে আদালতে, কংগ্রেস আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রখতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy