ভারতের ডাকে সাড়া দিয়ে নৌযুদ্ধের মহড়ায় সামিল হচ্ছে প্রায় গোটা বিশ্ব। বঙ্গোপসাগরের বুকে আমেরিকা আর রাশিয়ার মতো ঘোর প্রতিপক্ষ এক সঙ্গে মহড়া দিতে রাজি। এক সঙ্গে নিজেদের নৌসেনার সক্ষমতা দেখাতে তৈরি পরস্পরের প্রবল বৈরী চিন-জাপান! প্রায় বেনজির এই নৌসেনা মহড়ায় হাজির হচ্ছে বিশ্বের ৫২টি দেশ। রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশই ভারত আয়োজিত মহড়ায় অংশ নিতে রাজি হওয়ায়, আন্তর্জাতিক সমীকরণের খুব বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে এই ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)।
ভারতের নৌসেনা মহড়া এই প্রথম নয়। ১৯৫৩ সালে প্রথম বার নৌযুদ্ধের মহড়া দেয় ভারত। কিন্তু শুরুতে এই মহড়া ভারতের নিজস্ব ছিল। রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় অন্যান্য দেশের নৌসেনা সে ভাবে ডাক পেত না। ২০০১ সালে প্রথম বার এই মহড়াকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়। তখন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। সে বছর আইএফআর এত বড় আকার নেয়নি। ২৯টি দেশ অংশ নিয়েছিল। ১৫ বছর পর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক নেতৃত্বে ফের নৌ-মহড়ার আয়োজন করেছে ভারত। ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বিশাখাপত্তনম উপকূলে এই মহড়া চলবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, ফ্রান্স তো থাকছেই। থাকছে জাপান দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, পেরু-সহ মোট ৫২টি দেশের নৌবাহিনী।
আরও পড়ুন:
নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে চিন!
আন্তর্জাতিক জলসীমায় বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া মজবুত করা এবং পরস্পরের কাছ থেকে নৌ-যুদ্ধের নানা কৌশল শেখার জন্যই এই ধরনের মহড়া আয়োজিত হয়। কিন্তু সব আন্তর্জাতিক সমীকরণ ভুলে যে ভাবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, জাপান-সহ পৃথিবীর সবক’টি শক্তিশালী দেশ ভারতের ডাকে একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের বুকে মহড়া দিতে রাজি হয়ে গেল, বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান অবস্থায় তা সত্যিই বেনজির। বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা। পাকিস্তানকে ভারত অবশ্য এই মহড়ায় নিমন্ত্রণ করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy