পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে চিনা সেনার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সাংসদ জানতে চাইলেন, গত ১৫ জুন ঠিক কী ঘটেছিল পূর্ব লাদাখে? কী ভাবেই বা চিনা সেনা ঢুকে পড়ল ভারতীয় ভূখণ্ডে?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অজয় শুক্ল অভিযোগ করেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিনা সেনার সরে যাওয়া নিয়ে মোদী সরকার সকলকে বিভ্রান্ত করছেন। সেই সাক্ষাৎকারটি জুড়ে দিয়ে রবিবার তাঁর টুইটে রাহুল প্রশ্ন করেন, ‘‘মোদীজির জমানায় চিনা সেনা কী ভাবে আমাদের পবিত্র ভূমিতে ঢুকে পড়ল?’’
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের ওই সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আগেও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিঁধেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘‘মোদী সরকারই গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা ঢুকতে দিয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে সর্বদল বৈঠকে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন।’’
ऐसा क्या हुआ कि मोदी जी के रहते भारत माता की पवित्र ज़मीन को चीन ने छीन लिया?https://t.co/EkSAbWUUaU
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 12, 2020
সেই সময় রাহুলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা-সহ শাসকদলের অনেকেই। নড্ডার অভিযোগ ছিল, ‘‘রাহুল দেশের নাগরিকদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, ‘‘রাহুল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির একটা মিটিংয়েও যান না।’’
আরও পড়ুন: সঙ্কটজনক কোভিড রোগীকে দেওয়া যাবে এই ইঞ্জেকশন, জানাল ড্রাগ কন্ট্রোল
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯-এ মধ্যবয়সিদের মৃত্যুহারে উদ্বেগ
তার পর ইউপিএ জমানায় তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে ‘অন্যায় ভাবে অর্থ’ যাওয়ারও অভিযোগ তোলে বিজেপি। নড্ডা নিজে একটি টুইট করেও সেই অভিযোগ জানান। তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়।