—প্রতীকী ছবি।
আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে বসছে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন। তার আগেই চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে জোহানেসবার্গে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলন, যার দিকে বিভিন্ন কারণে নজর থাকবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাথমিক গান গাওয়া অনেক দিনই শুরু করেছিল বেজিং। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে তারা কোমর বেঁধে নামবে এই গোষ্ঠীর সম্প্রসারণের চেষ্টায়। তাদের পাশে রয়েছে রাশিয়াও। উদ্দেশ্য, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি ৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে চিনের হাতে। অর্থাৎ পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা।
ব্রিকস-এ যোগ দেওয়ার জন্য ৩০টির মতো দেশ আবেদন করে বসে রয়েছে। তাদের মধ্যে কাকে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই আসন্ন বৈঠকে শুরু করবে চিন। উপস্থিতি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সশরীর না থাকলেও ভিডিয়ো মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাউথ ব্লকের উদ্বেগ, চিন চেষ্টা করবে যে সব দেশে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং আধিপত্য বেশি তাদের ব্রিকস গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে। আর্জেন্টিনা, আলজিরিয়া, ইরান, কিউবা, কঙ্গো, কাজ়াকস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশ রয়েছে এই প্রার্থীদের তালিকায়।
ভারত এখনই তাড়াহুড়ো করে কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তি চাইছে না। সূত্রের খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে নিয়ে সমস্যা নেই দিল্লির। আবু ধাবির সঙ্গে মোদী সরকারের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে কয়েক বছরে। কিন্তু বাকি কোনও দেশ নিয়ে এখনই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে না। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশের ঐকমত্য না হলে নতুন কোনও দেশ সদস্য হতে পারবে না। ফলে ভারত না চাইলে একতরফা ভাবে চিন বা রাশিয়ার পক্ষে কোনও দেশকে সদস্য করা সম্ভব নয়। আবার এটাও ঠিক যে এ ব্যাপারে রাশিয়া ও চিনের যুগপৎ চাপ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিহত করাও কঠিন। এ ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর বক্তব্য, ‘‘ব্রিকস-এর সম্প্রসারণ নিয়ে ভারতের অবস্থান আমরা আগেও জানিয়েছি। এ ব্যাপারে যা করা হবে তা পরিপূর্ণ আলোচনার ভিত্তিতে সার্বিক ঐকমত্যের মাধ্যমেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy