Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেহাল জাতীয় সড়কে অবরোধ হাফলঙে

কাদায় ফেঁসেছে গাড়ি। হাফলঙের কাছে জাতীয় সড়কে। ছবি: বিপ্লব দেব

কাদায় ফেঁসেছে গাড়ি। হাফলঙের কাছে জাতীয় সড়কে। ছবি: বিপ্লব দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাফলং শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৫
Share: Save:

শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এখন মরনফাঁদ। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই রাস্তার যাত্রী নিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কিন্তু এ ভাবে বেহাল অবস্থায় পরে থাকা ওই জাতীয় সড়ক মেরামতির কোনও উদ্যোগই নেই। তারই প্রতিবাদে আজ থেকে হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে গাড়ির মালিক ও চালকরা।

সড়ক অবরোধের ফলে ওই রাস্তায় আজ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে অন্য যানবাহন চলাচল করেছে। আগামী কালও অবরোধ চলবে। তারপরও যদি জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামত করতে কোনও পদক্ষেপ না করে তা হলে বুধবার থেকে ওই রাস্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে অবরোধকারীরা। আজ এবং আগামীকাল শুধু যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করা গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আগামী দু’দিনে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করলে ওই রাস্তায় সবধরনের গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাড় জেলার অংশে বান্দরখাল, দূরবিনটিলা এবং ডিমা হাসাও জেলার বড়মলকই, রেখো, মিয়াংক্রোর অবস্থা শোচনীয়। গাড়ি চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিন বড়মলকই এলাকায় তাদের গাড়ি আটকে পড়ে। করিডর নির্মাণের কাজে নিযুক্ত কোম্পানি জেসিবি যন্ত্র দিয়ে গাড়ি টেনে তুলতে গাড়ি প্রতি দুই-তিনশো টাকা দাবি করে। গত মঙ্গলবার ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়া ও কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সিজিএম রাজ চক্রবর্তী-সহ অনান্য অফিসাররা বালাছড়া থেকে মাইবাং পর্যন্ত জাতীয় সড়কের বেহাল দশা দেখার পরও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এখনও রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দেয়নি। জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়া ডিটেকছড়া থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

National Highway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE