ব্রিকস গোষ্ঠী নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোর আপত্তি। সেই ট্রাম্পের নাকের ডগাতেই নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ব্রিকস-এর দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক বসাল ভারত। শুধু তা-ই নয়। ব্রিকস-এর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের বিবৃতিতে বলা হল, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কের চাপ বা অন্যান্য রক্ষণশীল পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাধা আসছে, পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।
শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উদ্যোগে ব্রিকস দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক বসে। এ ছাড়া রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনও ব্রিকস-এর সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে।
ব্রিকসের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, প্রায় ৭০টি দেশের উপরে যথেচ্ছ শুল্ক চাপানোর ফলে বাণিজ্যে বাধা তৈরি হয়েছে। চাপ দেওয়ার জন্য এই সব নীতির ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হবে। বৈঠকে ব্রাজ়িল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ইরান, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিয়োপিয়া, মিশরের মতো দেশও হাজির ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ ও তার নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোয় বদল করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন ব্রিকসের বিদেশমন্ত্রীরা।
ভারত, জার্মানি এবং জাপানের মতো দেশগুলি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চাইছে। পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতায় নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন জয়শঙ্কর। অন্য দিকে ভুটানের পরে মরিশাসও ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সওয়াল করেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)