আমেরিকা থেকে তেল কেনা আরও বৃদ্ধি করতে পারে ভারত। বুধবার ভারতের বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়ালের কথায় সেই আভাস মিলেছে। বাণিজ্যজট কাটাতে আমেরিকার সঙ্গে ফের এক দফা আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবারই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন রাজেশ।
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ‘জরিমানা’ বাবদ ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় আমেরিকা থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধির ভারতের দরজা খুলে রাখা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গত কয়েক বছরে আমেরিকা থেকে জ্বালানি, বিশেষত তেল কেনা অনেকটা কমে গিয়েছে দিল্লির। গত ৭-৮ বছরে আমেরিকা থেকে জ্বালানি তেল কেনা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৭-৮ বছর আগে ২৫০০ কোটি ডলারের তেল আসত আমেরিকা থেকে। এখন তা কমে ১২০০-১৩০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
আমেরিকা থেকে তেল আমদানির বিষয়ে বুধবার রাজেশ বলেন, “প্রায় ১২০০-১৫০০ ডলারের (তেল কেনার) জায়গা রয়েছে। আমাদের শোধনাগারের বিষয়ে চিন্তা না করেই এটা কেনা যেতে পারে।” তিনি আরও জানান, ভারত যে জ্বালানি আমদানিকারক দেশ হিসাবে একটি দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না, তা নয়াদিল্লি ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারতের জ্বালানি তেলের বড় অংশই আমদানি করা হয়। সে দিক থেকে এই বৈচিত্র বজায় রাখাটাই দিল্লির জন্য সেরা কৌশল বলে মনে করছেন ভারতের বাণিজ্যসচিব।
আরও পড়ুন:
আরও স্পষ্ট করে রাজেশ বলেন, “আমেরিকা থেকে আরও জ্বালানি কিনতে পারলে আমরা খুশিই হব। তবে সঠিক মূল্যে তা পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটিও দেখা হবে।” বস্তুত, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য অসন্তোষের পাশাপাশি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এ অবস্থায় আমেরিকা থেকে তেল কেনা বৃদ্ধি করলে ট্রাম্পের সেই উদ্বেগ কিছুটা কমানো যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। গত মাসে ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছেন আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের প্রধান। বর্তমানে বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়াদিল্লির একটি প্রতিনিধিদল আমেরিকাতেই রয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য। বৃহস্পতিবার ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দেবেন বাণিজ্যসচিব রাজেশও।