কেন একেবারে ভোটের মুখে বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জন করা হচ্ছে, আজ নির্বাচন কমিশনেরসঙ্গে বৈঠকে সেই প্রশ্ন রাখল ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। ‘ইন্ডিয়া’-র এ দিনের প্রতিনিধিদের তালিকায় তৃণমূলের সাকেত গোখলের নাম থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত বৈঠকে যাননি। দলীয় সূত্রের মতে, গত কালই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে আসায় আজ আর কাউকেপাঠানো হয়নি।
বছরের শেষে বিহারে ভোট। অথচ জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ওই রাজ্যের প্রায় ৮ কোটি বাসিন্দার ভোটার তালিকা বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নতুন ভোটারদের নাম তুলতে তাঁদের নিজেদের জন্মের প্রমাণপত্র ছাড়াও বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের তথ্য চেয়েছে কমিশন। বিতর্কতা নিয়েই।
ওই সিদ্ধান্তেরই প্রতিবাদ জানাতেই ‘ইন্ডিয়া’-র ১১টি দলের ১৮ জন প্রতিনিধি কমিশনেরকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের শেষে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ২০০৩ সালে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন করতে দু’বছর লেগেছিল। এখন তা দু’মাসে করারলক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এটি কী ভাবে সম্ভব? বিরোধীদের প্রশ্ন, তালিকা পরিমার্জন কেন আরও আগেকরা হল না? নাম তোলার ক্ষেত্রে এখন কেন এত নথি চাইছে কমিশন?আসলে এর নেপথ্যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে যোগ্য ভোটারদের বাদ দেওয়ার ছক রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আজকের বৈঠকে দলীয় সভাপতি-সহ প্রতিটি দলের মাত্র দু’জন করে প্রতিনিধিকে পাঠানোর শর্তরেখেছিল কমিশন। সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘বৈঠক কে যোগ দেবেন, তা ঠিক করবে দল। প্রতি দল থেকে দু’জনকে যেতে দেওয়ায় পবন খেরা, জয়রাম রমেশের মতো বর্ষীয়ান সাংসদদের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে,যা দৃষ্টিকটু।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)