Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Oxford

আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের কোভিড টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত

অক্সফোর্ড টিকার ভারতে প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে অতিরিক্ত কিছু তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্র। সেই তথ্য জমা দিয়েছে সংস্থা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:৩৪
Share: Save:

আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত সরকার। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য প্রায় পুরো প্রক্রিয়া সারা বলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত দু’টি সূত্রে খবর। ওই দুই সূত্রের দাবি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার ভারতে প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে অতিরিক্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই তথ্য জমা দিয়েছে সংস্থা। তাতে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্রাথমিক ভাবে সন্তুষ্ট। আর তাতেই এই টিকা নিয়ে আশা বাড়ছে দেশবাসীর। সে ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের এই টিকায় সবুজ সঙ্কেত দিলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই হবে প্রথম দেশ। কারণ, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এখনও টিকার কার্যকারিতা এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল যাচাই করছেন।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কোভিড টিকা তৈরি করেছে ওষুধ প্রস্তুতাকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সেই টিকা ভারতে তৈরি করছে ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’। ডিসেম্বরের গোড়ায় দেশে মোট তিনটি সংস্থা— সিরাম ইনস্টিটিউট, ফাইজার ও ভারত বায়োটেক তাদের টিকা জরুরি ভিত্তিতে মানবদেহে গণপ্রয়োগের আবেদন জানিয়েছিল। গত ৯ ডিসেম্বর সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখে অনুোমোদকারী সংস্থা সিডিএসসিও। তার পর তিনটি সংস্থার কাছ থেকেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আরও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠায় সিডিএসসিও। বাকি দু’টি সংস্থা অবশ্য এখনও অতিরিক্ত তথ্য জমা দেয়নি বলেই ওই দু’টি সুত্র জানিয়েছে।

সিডিএসসিও-র ওই দু’টি সূত্র জানিয়েছে, শুধু সিরামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নয়, অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্রিটেনের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আগামী সপ্তাহেই অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত মিলেছে।

আরও পড়ুন: নয়া স্ট্রেন ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই এ দেশে দু’দিনে ব্রিটেনফেরত ২০ যাত্রী করোনা পজিটিভ

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্রিটেন, ব্রাজিল-সহ কয়েকটি দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে, একটি ডোজ নিলে কোভিডের বিরুদ্ধে ৬২ শতাংশ সাফল্য মিলছে। দু’টি ডোজ বা টিকার কোর্স সম্পূর্ণ করলে সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ। ভারত সরকার অবশ্য দু’টি ডোজের পথেই এগোচ্ছে। এই টিকার আরও সুবিধা হল, ভারতের মতো নাতিশীতোষ্ণ দেশে এই টিকার সংরক্ষণ ও পরিবহণ সুবিধাজনক। কারণ, সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই এই টিকা সংরক্ষণ করা যায়। তা ছাড়া অন্যান্য টিকার তুলনায় এর দামও কম। এই দু’টি বিষয়ের কথা মাথায় রেখেও অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে অক্সফোর্ডের টিকা।

আরও পড়ুন: সায়ন্তনের পর অগ্নিমিত্রাকেও শো-কজ, কড়া বার্তা বিজেপি-র

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা তৈরি হয় ভারতেই। তার মধ্যে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদন করে সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার আধিকারিকরা বলেছেন, ‘‘সিরাম প্রস্তুত। প্রাথমিক ভাবে আমরা ৫ থেকে ৬ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারি।’’ তবে সিডিএসসিও-র প্রধান ভিজি সোমানি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE