প্রতীকী ছবি।
উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের পাকিস্তানে বন্দি হওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে বায়ুসেনার দু’জনের কথা। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কে নচিকেতা এবং স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজা। ১৯৯৯ সালের ২৭ মে, কার্গিল যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর হাতে পড়েছিলেন এই দু’জন।
সে দিন কার্গিলের আকাশে নচিকেতার মিগ-২৭ বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তিনি ‘ইজেক্ট’ করে বেরিয়ে আসতে পারলেও পাক সেনার নর্দার্ন ইনফ্যান্ট্রি বন্দি করে তাঁকে। তৎকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার গোপনে বিস্তর আলোচনা চালিয়ে রাজি করায় পাকিস্তানকে। রেড ক্রসের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয় নচিকেতাকে। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণন তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান।
কিন্তু অজয়কে বন্দি অবস্থায় হত্যা করেছিল পাক বাহিনী। বায়ুসেনার ভেঙে পড়া বিমানের এক চালককে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অজয়ের বিমান। তিনি ‘ইজেক্ট’ করে নামতে পারলেও বন্দি হন। সে দিনই তাঁকে হত্যা করে পাক বাহিনী।
অভিনন্দনকে বন্দি করা হয়েছে বায়ুসেনার উর্দিতে। জেনিভা সম্মেলনের সনদ অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দির মর্যাদা ও সুবিধা প্রাপ্য তাঁর। ওই সনদে বলা আছে, শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি হলেও তাঁকে থাকার জায়গা, খাবার, পোশাক, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ও তাঁর প্রত্যর্পণের বিষয়টি কার্যকর করবেন। কিন্তু কত দিনে ফিরতে পারবেন অভিনন্দন? নচিকেতাকে ফেরানো সম্ভব হয়েছিল ১৯৯৯-এর ৩ জুন। অর্থাৎ আট দিন পরে। এই মুহূর্তে গোটা দেশের একটিই কামনা, দ্রুত ফিরে আসুন অভিনন্দন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy