—প্রতীকী চিত্র।
‘বিশ্বের সুখ-সূচক’ প্রকাশ হল এ বছর। ২০২৪ সালের রিপোর্ট কার্ডে ফের প্রথম হয়েছে ফিনল্যান্ড। এই নিয়ে সাত বার পরপর তারাই প্রথম স্থানে। ভারত এই তালিকায় অনেক পিছনে, ১২৬-এ। তবে তালিকায় সবচেয়ে নজর কেড়েছে ইজ়রায়েল। যুদ্ধ চলছে, শতাধিক ইজ়রায়েলি হামাসের ডেরায় বন্দি, দেশের ভিতরে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে, গাজ়ায় ৩১ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনির মৃত্যুতে বিশ্বে কার্যত একঘরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার, তাতেও তারা সুখ-খবরে পঞ্চম স্থান পেয়েছে!
আমেরিকা এ বছর অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। তার জন্য অবশ্য যুদ্ধ-বিদ্রোহ বা তাতে তাদের ‘ইন্ধন’ দেওয়া দায়ী নয়, দেশের তরুণ-প্রজন্মের মন খারাপই কারণ। এই বারই প্রথম সুখ-তালিকার প্রথম-২০ থেকে ছিটকে গেল আমেরিকা। স্থান হয়েছে ২৩-এ। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, দেশের অনুর্ধ্ব-৩০ প্রজন্মের জীবন সম্পর্কে ধারণার অবনতি ঘটেছে। সমীক্ষাকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশেষজ্ঞ ইলানা রন লেভি-র অবশ্য দাবি, ‘‘বয়স নির্বিশেষে আমেরিকায় সুখ ও ভাল থাকার মান পড়ে গিয়েছে।’’ ব্রিটেনের ফলও খারাপ হয়েছে। তারাও প্রথম-২০-তে জায়গা পায়নি। আফগানিস্তান এ বছরও সুখ-তালিকায় সর্বশেষ স্থানে জায়গা পেয়েছে। প্রথম দশে রয়েছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, ইজ়রায়েল, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবুর্গ, সুইৎজ়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ তৈরি করে ‘গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোল’। তারা ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মানুষের জীবনযাপন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে একটি গড় রিপোর্ট তৈরি করেছে। যে তথ্যগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে, তা হল— মাথাপিছু জিডিপি, বাসিন্দাদের সুস্থ জীবন ও আয়ু, সামাজিক স্তরে সহযোগিতা, স্বাধীনতা, উদারতা, দুর্নীতি।
এই রিপোর্টে আরও একটি বিষয় নিয়ে সামগ্রিক ভাবে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই তরুণ প্রজন্ম এমন অবসাদে ভুগছে, যা ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর শামিল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জন্য অনেকাংশে দায়ী সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমেরিকার খারাপ ফলাফলের জন্য অন্যতম কারণ এটিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy