Advertisement
E-Paper

‘পারিবারিক বিপর্যয় ঘটতে পারে’! এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নয়া নীতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করল মোদী সরকার

ট্রাম্পের ভিসানীতি নিয়ে শোরগোল পড়তেই ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র তো বটেই শিল্পমহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকার নয়া ভিসানীতিতে পরিবর্তনগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫১
India react on US\\\\\\\' new H-1B visa rule impact

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

এইচ-১বি ভিসা নিয়ে শুক্রবার নতুন নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নয়া ভিসানীতি নিয়ে এ বার উদ্বেগপ্রকাশ করল ভারত। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প যে নির্দেশনামা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে গেলে মার্কিন সংস্থাগুলিকে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে বছরে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে নেবে মার্কিন প্রশাসন। তাদের এই নয়া ভিসানীতির ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের উপর, তা অনেকেই আশঙ্কা করছেন। শনিবার বিকেলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি উল্লেখ করে জানায়, এই পদক্ষেপের ফলে এইচ-১বি ভিসাধারী মানুষের জীবনে পারিবারিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। ভারত সরকার মনে করে, এ ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা করবে।

ট্রাম্পের ভিসানীতি নিয়ে শোরগোল পড়তেই ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র তো বটেই শিল্পমহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকার নয়া ভিসানীতিতে পরিবর্তনগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে পরামর্শ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নীতিনির্ধারকেরা পারস্পরিক সুবিধা বিবেচনা করে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি মূল্যায়ন করবেন। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে।

শিল্পক্ষেত্রে ভারত এবং আমেরিকার অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আশা করা যেতে পারে যে তারা (মার্কিন প্রশাসন) সর্বোত্তম পথ নির্ধারণের জন্য পরামর্শ করবে।’’ তবে বিদেশ মন্ত্রকের আশঙ্কা, নয়া ভিসানীতির ফলে প্রভাব পড়তে পারে আমেরিকায় কাজ করতে যাওয়া ভারতীয়ের পরিবারেরা। পারিবারিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ভারতীয় কর্মীরা। গত বছর ভারত থেকে ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছে চিন। সেখান থেকে ১১.৭ শতাংশ ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজ়ন এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলি ১২ হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছে। মাইক্রোসফ্‌ট, মেটার মতো সংস্থা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে পাঁচ হাজার করে আবেদনে।

H1-B visa Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy