গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চার ব্যক্তির মৃত্যু হল দেশের চার প্রান্তে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কেরলে এক জন করে ব্যক্তি করোনার শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ে ৩২ জন ব্যক্তির মৃত্যু হল করোনার কারণে। তবে গত পাঁচ মাসে পশ্চিমবঙ্গের কারও করোনার কারণে মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এ দিকে মাঝে ক’দিন বিরতি দিলেও, গত দু’দিন ধর ফের দ্রুত গতিতে ছড়াতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে গত চব্বিশ ঘণ্টায় গোটা দেশে ২০৩টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। যার ফলে দেশে আজ সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯৬১ জনে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধায় পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতে (৪৭)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৪৪)। সার্বিক আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে কেরল। ওই রাজ্যে গত পাঁচ মাসে ১৪৩৫ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এ দিকে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে দিল্লির এক মহিলার বয়স মাত্র ২২ বছর। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। মহারাষ্ট্রে মৃত এক যুবকের বয়স ২৫। তিনি ক্রনিক হাঁপানির রোগী ছিলেন। তামিলনাড়ুতে মৃত ব্যক্তির বয়স ৪৪ বছর। তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। যে কারণে যাঁরা ক্রনিক কোনও রোগে ভুগছেন তাঁদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনার যে উপপ্রজাতি এ যাত্রায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেটির প্রাণঘাতী ক্ষমতা না থাকলেও, সংক্রমণের প্রশ্নে ভীষণই শক্তিশালী। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সকলকে পরীক্ষা করার উপরে জোর না দিলেও, যাদের গত দু’সপ্তাহে বিদেশ ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে বা যাঁরা সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের দেহে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই পরীক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বা নিউমোনিয়া রয়েছে তাঁদের দেহে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গহীন সংক্রমিত ব্যক্তি ও সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের পাঁচ ও চোদ্দ দিনের মাথায় এক বার করে পরীক্ষা করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)