প্রদর্শনীতে ‘মন্ত্র’। ছবি: পিটিআই।
সেনাবাহিনীর হাতে রিমোর্ট চালিত ট্যাঙ্ক ‘মন্ত্র’।
মূল লক্ষ্য নজরদারি, সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা। সেই উদ্দেশে এ বার সেনাবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে মানববিহীন, রিমোর্ট চালিত ওই ট্যাঙ্ক। নজরদারি চালানো ছাড়াও মাইন পোঁতা থাকলে তারও হদিশ দেবে মন্ত্র। পাশাপাশি, পারমাণবিক ও জৈব অস্ত্র হামলার আশঙ্কা রয়েছে— এমন এলাকাতেও ব্যবহার করা যাবে এটিকে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সদস্য হিসাবে ‘মন্ত্র’ আত্মপ্রকাশ করবে বলে দাবি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এর। তাদের চেন্নাইয়ের ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে এটি। সামান্য কিছু পরিবর্তনের পর যা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান এস ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন মডেলে তৈরি হয়েছে এই ট্যাঙ্ক। নাম দেওয়া হয়েছে— ‘মন্ত্র এম’, ‘মন্ত্র এন’ এবং ‘মন্ত্র এস’। নজরদারি চালানোর কাজে ব্যবহার করা হবে ‘মন্ত্র এস’। মাইন পোঁতা আছে কি না তা খুঁজবে ‘মন্ত্র এম’। পাশাপাশি, পারমাণবিক এবং জৈব অস্ত্র হামলার সম্ভবনা রয়েছে এমন জায়গায় কাজে লাগানো হবে ‘মন্ত্র এন’কে। ডিআরডিও-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘মন্ত্র’তে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা, র্যাডার, যা ১৫ কিলোমিটার দূরে লুকিয়ে থাকা কোনও বস্তুর ছবি সহজেই তুলেতে পারবে।
রাজস্থানের মরুভূমিতে চালানো হচ্ছে ‘মন্ত্র’র কার্যকারিতা সংক্রান্ত পরীক্ষা।
রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ‘মন্ত্র’র কার্যকারিতা সংক্রান্ত পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রুক্ষ মরুভূমির প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও কাজ করতে সক্ষম এই আধুনিক ট্যাঙ্ক।
সম্প্রতি প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয় ‘মন্ত্র’কে। মূলত সেনাবাহিনীর জন্য এই ট্যাঙ্ক তৈরি হলেও নকশাল প্রভাবিত এলাকায় এটি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছে আধা সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: শীতের আগেই ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy