Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
India

চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে সরছে না দিল্লি

ইরান সরকার সূত্রে বলা হচ্ছে, চাবাহার বন্দরের মূল প্রকল্পটির পাশাপাশি এখান থেকে জাবেদিন এবং জাবেদিন থেকে তুর্কমেনিস্তানের সীমান্ত পর্যন্ত রেল প্রকল্প নির্মাণে ভারত অর্থ বিনিয়োগ করবে— এটাই প্রত্যাশিত ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০২:৫৮
Share: Save:

ভারতকে ছাড়াই চাবাহার রেল প্রকল্পের কাজ ইরান শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নড়েচড়ে বসল সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, ওই রেল প্রকল্প মূল চাবাহার প্রকল্পের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। ভারতের তার থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্নই নেই। ওই প্রকল্প রূপায়ণে টাকা ঢালতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি। এখন না হলেও প্রকল্পের পরবর্তী পর্যায়ে ভারত অংশ নেবে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কৌশলগত ভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটিতে কেন গোড়া থেকেই অংশ না নিয়ে কার্যত চিনকে জমি ছেড়ে দিচ্ছে ভারত? গত কাল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী চাবাহার প্রকল্প সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে ভারতের বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। টুইটারে তাঁর মন্তব্য, “ভারতের আন্তর্জাতিক কৌশল ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। সর্বত্র আমরা শক্তি ও সম্মান হারাচ্ছি। সরকারের কোনও ধারণাই নেই কী করণীয়।’’

ইরান সরকার সূত্রে বলা হচ্ছে, চাবাহার বন্দরের মূল প্রকল্পটির পাশাপাশি এখান থেকে জাবেদিন এবং জাবেদিন থেকে তুর্কমেনিস্তানের সীমান্ত পর্যন্ত রেল প্রকল্প নির্মাণে ভারত অর্থ বিনিয়োগ করবে— এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু সেটা তারা না করায়, ইরানের সংস্থার অর্থে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনা হল, পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত চাবাহার ভারতের জন্য বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরান এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার ফলে পাকিস্তানকে এড়িয়ে মধ্য এশিয়ায় নিজস্ব পণ্য রফতানির জন্যই প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পে শামিল হয়েছিল ভারত। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কেন গোড়া থেকেই রেল প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে না নয়াদিল্লি?

আরও পড়ুন: ‘বয়কটের’ জেরে আত্মহত্যার চিন্তা গোটা পরিবারের

সাউথ ব্লকের সূত্রের মতে, জাবেদিন রেল প্রকল্পের দু’টি অংশ রয়েছে। প্রথমটি হল, সাব-স্ট্রাকচার। অর্থাৎ, রেললাইন পাতার ক্ষেত্র প্রস্তত করা। পরেরটি সুপার স্ট্রাকচার। অর্থাৎ, রেললাইন বসানো। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ইরান প্রথম অংশটি করবে, দ্বিতীয়টির দায়িত্ব ভারতের। কিন্তু সমস্যা হল, এই দ্বিতীয় অংশের জন্য ভারতের প্রয়োজন সে দেশে ইস্পাত রফতানি করা, যা এই মুহূর্তে মার্কিন নিষেধের আওতায় রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে কথা বলে, তাদের রাজি করানোর পরেই এই কাজে হাত দেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, সেটাই দেরি হওয়ার কারণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India Chabahar Railway Project Iran Chabahar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE