ইরান এবং ইজ়রায়েলের যুদ্ধের পর এই প্রথম তেহরানের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আলোচনায় বসতে চলেছে নয়াদিল্লি। আলোচনা হবে চাবাহার বন্দরকে সামনে রেখে। অন্য দিকে, ভারসাম্যের কূটনীতিকে বহাল রেখে আজ থেকে নয়াদিল্লি সফররত ইজ়রায়েলের অর্থমন্ত্রী বাজ়ালেল স্মত্রিচের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি সই করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নতুন চুক্তির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলির একে অন্যের দেশে বিনিয়োগ করা মসৃণ হবে বলে জানাচ্ছে মন্ত্রক। ইজ়রায়েলের মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও প্রসারিত করা এবং বিনিয়োগ আরও বাড়ানোই উদ্দেশ্যে।
মাত্র আড়াই মাস আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ভেস্তে দিতে কেবল বন্ধু ইজ়রায়েলকে সমর্থনই নয়, সরাসরি ময়দানেও নেমেছিল আমেরিকা। ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে আমেরিকার ‘বি২ বম্বার’ বোমারু বিমান। কিন্তু আমেরিকার এই অতর্কিত হামলায় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির চেষ্টা এবং সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি রোধ করতে পারেননি ট্রাম্প।
আমেরিকা ৫০ শতাংশ শুল্ক ও জরিমানা চাপিয়ে দেওয়ার পর ভারত তার কূটনৈতিক দৌত্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে, ইরান এবং ইজ়রায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছে সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, গত শনিবার ভারত এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের ফোনালাপ হয়েছে। এ বার তেহরান যাবেন ভারতীয় কূটনৈতিক আধিকারিকেরা। লক্ষ্য চাবাহার বন্দরকে দ্রুত চালু করা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)