—ফাইল চিত্র
লাদাখে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে নতুন বছরের প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। আগামিকাল চুসুল সেক্টরের মলডোতে নবম কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকটি হতে চলেছে। সেখানে সেনা পর্যায়ের অফিসার ছাড়াও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের।
বৈঠকের ঠিক আগে অবশ্য আজ চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা না-সরানো পর্যন্ত ভারতও তাদের সেনা সরাবে না বলে আজ জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এর আগের বৈঠকে ‘আট নম্বর ফিঙ্গার’ এলাকায় সেনা সরানোর প্রস্তাব দেয় বেজিং। সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে সহমত হয় নয়াদিল্লি। কিন্তু আজ রাজনাথ জানিয়ে দিয়েছেন, চিন যত দিন না সেনা সরাবে, ভারতও এলএসি থেকে সেনা সরাবে না। একই সঙ্গে রাজনাথ জানিয়েছেন, লাদাখ সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নের যে কাজ শুরু হয়েছে, তা চালু থাকবে। চিনের আপত্তি থাকলেও কোনও চাপের কাছে ভারত মাথা নোয়াবে না। চিনের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনেও শেষ পর্যন্ত লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা সমাধানে আলোচনার উপরেই জোর দিয়েছেন তিনি। রাজনাথের কথায়— সীমান্তে যখন দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে, তখন আলোচনার কোনও দিনক্ষণ বলা যায় না। রাজনাথ বলেন, “আমরা আলোচনার পথে বিশ্বাসী। কিন্তু সমাধানের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় বা তারিখ বলা সম্ভব নয়।”
আজ চিন প্রশ্নে সুর চড়ান বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌড়িয়াও। আজ থেকে যোধপুরে শুরু হয়েছে ভারত-ফ্রান্স ‘ডেজার্ট নাইট-২১’ মহড়া। মূলত রাফাল যুদ্ধবিমানকে সামনে রেখে ওই মহড়া চালানো শুরু করেছে দু’দেশের বায়ুসেনা। আজ যোধপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে সীমান্ত সমস্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়েছে বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “চিন আগ্রাসী মনোভাব দেখালে আমরাও আগ্রাসী হতে পারি।” গত এক বছর ধরে এলএসি-তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে চিন। বসানো হয়েছে একাধিক রেডার, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ভাদৌড়িয়া বলেন, “চিন সেনা বাড়িয়েছে বটে, তবে আমরাও পাল্লা দিয়ে সীমান্তে প্রয়োজনীয় শক্তি বাড়িয়েছি। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy