পরিকল্পনা অনুযায়ী রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি নিষেধাজ্ঞা কমিটির কাছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ-এর কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত নথি দিল ভারত। লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ দু’বার পহেলগাম কাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়ার পর তাকে নিষিদ্ধ তালিকায় পাঠাতে নয়াদিল্লি উঠে পড়ে লেগেছে। ভারতের প্রকৌশলীদের এক প্রতিনিধিদল নিউইয়র্ক পৌঁছেছে পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা ও কাগজপত্র তুলে দেওয়ার জন্য। এই দলটি দেখা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবিরোধী দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় ১২৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের নাম রয়েছে।
ঘটনা হল, টিআরএফ প্রথমে পহেলগামের জঙ্গি হানার দায় দু’বার স্বীকার করলেও পরে আবার নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করে। নতুন বিবৃতিতে টিআরএফ জানায়, ওই কাণ্ডে তাদের কোনও যোগ নেই। প্রথমে স্বীকার করেও পরে সেই দায় অস্বীকার করাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। নয়াদিল্লি বলে, এ নিছকই নাশকতাকে আড়াল করতে পাক সরকারের চাপে করা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে লস্কর সংক্রান্ত বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানকেও। পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগামের ওই ঘটনায় লস্করের কোনও যোগ রয়েছে কি না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয় পাকিস্তানকে।
২০১৯-এ টিআরএফের উত্থান। সদ্য সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে লস্করের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। নয়াদিল্লির বক্তব্য, এদের মূল লক্ষ্য, কাশ্মীরে স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো। তার জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মের পুনর্বিন্যাস করার চেষ্টা শুরু করেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)