প্রতীকী ছবি
জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াতে উদ্যোগী হল ভারতীয় বায়ুসেনা। তারা ১০টি ‘অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম’ চাইছে এই ধরনের হামলার মোকাবিলা করার জন্য। জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বোমা ফেলার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ধরনের মানবহীন যানের মোকাবিলা করতে তাই এই সরঞ্জাম চাইছে বায়ুসেনা। এই ড্রোনের হামলা রুখতে লেজার রশ্মি পরিচালিত ‘এনার্জি ওয়েপন’ দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
সূত্রের খবর, জম্মুতে হামলার একদিন পরেই বায়ুসেনা কয়েকটি ভারতীয় সংস্থার কাছ থেকে ‘কাউন্টার আনআর্মড এয়ারক্রাফট সিস্টেম’-এর (সিইউএস) জন্য ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ (আরএফআই) পাঠিয়েছে। ‘কাউন্টার আনআর্মড এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম’ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ড্রোন শনাক্ত করে ধ্বংস করতে দিতে পারে। লেজার পরিচালিত এনার্জি ওয়েপন মূলত কোনও কিছুকে নিমিষে ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়। আরএফআই-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, ড্রোন ধ্বংস করার ওই সরঞ্জামে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট জ্যামার সিস্টেম’ (জিএনএসএস) এবং ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার’ থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রোন ধ্বংস করার জন্য লেজার পরিচালিত এনার্জি ওয়েপনও থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশের ন্যূনতম ক্ষতি করে শত্রু শিবিরের ড্রোন ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
৫ কিমি দূর পর্যন্ত ছোট ড্রোন শনাক্ত করার জন্য ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ পাওয়া যাবে এমন রাডার থাকা সিস্টেমের জন্য বাধ্যতামূলক। ছোট ড্রোন শনাক্ত করা খুব কঠিন। কারণ, এটি খুব কম উচ্চতায় ধীরে ধীরে ভাসতে পারে। এই কারণে রাডারে চট করে ধরা পড়ে না। যে কারণেই এই নতুন সিস্টেমে এই ব্যবস্থা চায় বায়ুসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy