লাদাখে মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই বুধবার দু’দেশের বাহিনী ফ্ল্যাগ মিটিং-এ মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। —প্রতীকী ছবি।
লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসল ভারত এবং চিনের বাহিনী। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার চিনা সেনা সীমান্ত লঙ্ঘন করে লাদাখে ঢুকে পড়ায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আইটিবিপি তাদের পথ আটকায়। দুই বাহিনীর মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়ে বলেও খবর। ভারত-চিন সীমান্তে এই বিরল ঘটনার প্রেক্ষিতেই দুই বাহিনীর পদস্থ কর্তারা আজ ফ্ল্যাগ মিটিং-এ মুখোমুখি হন বলে সেনা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। বাহিনীর তরফে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি অবশ্য দেওয়া হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলিও আজ এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে চিনা সেনার সীমান্ত লঙ্ঘন এবং লাদাখে ঢুকে পড়ার ঘটনা ইচ্ছাকৃত, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের ডোকলামে প্রায় আড়াই মাস ধরে দু’দেশের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তার প্রতিক্রিয়াতেই লাদাখে এই ঘটনা ঘটিয়েছে চিন, মত ওই বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত, লাদাখে পাথর ছুড়ে সংঘর্ষ দুই বাহিনীর মধ্যে
লাদাখে, উত্তরাখণ্ডে, সিকিমে বা অরুণাচল প্রদেশে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা রয়েছে ভারত এবং চিনের মধ্যে। দু’পক্ষই মাঝেমধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। কিন্তু লাদাখে মঙ্গলবার যে রকম ঘটনা ঘটেছে, তা বেশ বিরল।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের কথা জানা নেই: সীমান্ত লঙ্ঘন অস্বীকার করে বলল চিন
প্যাংগং লেকের কাছে ভারতীয় এবং চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা চিন স্বীকার করেনি। এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলে চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে। ভারতীয় সেনাও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে সংঘর্ষের কথা অস্বীকারও করেনি। তার পরই আজ লাদাখ সীমান্তে দুই বাহিনীর পদস্থ কর্তারা ফ্ল্যাগ মিটিং-এ পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর যে ভাবে ফ্ল্যাগ মিটিং ডাকা হয়েছে, তাতেই স্পষ্ট যে পরিস্থিতি গুরুতর লাদাখ সীমান্তে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। জেটলি বলেন, ‘‘এই ধরনের বিষয়ে সরকার মন্তব্য করে না।’’ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জেটলির এই প্রতিক্রিয়া জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy