Advertisement
E-Paper

ড্রোনের উপদ্রব বন্ধ করতে তৎপরতা! আগাম শনাক্তের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র চেয়ে বার্তা পাঠাল ভারতীয় সেনা

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে অত্যাধুনিক ড্রোন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা চাইছে ভারতীয় সেনা। এ বিষয়ে সরকারি ভাবে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেনা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোনের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে চাইছে সেনা।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোনের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে চাইছে সেনা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে অত্যাধুনিক ড্রোন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা চাইছে ভারতীয় সেনা। একটি ‘ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন অ্যান্ড ইন্টারডিকশন সিস্টেম’ পাঠানোর বিষয়ে সরকারি ভাবে তথ্য চেয়ে (রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন বা আরএফআই) পাঠিয়েছে সেনা। পঞ্জাবে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাম্প্রতিক কালে মাঝেমধ্যেই ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি কাশ্মীর উপত্যকাতেও ড্রোনের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় ড্রোনের উপদ্রব বন্ধ করতে এই যন্ত্র সেনাকে অনেকাংশে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরপূর্বের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় সেনা। আধুনিক প্রযুক্তির সময়ে বাহিনীর সমরসজ্জায় বহুস্তরীয় ব্যবস্থা প্রয়োজন। র‌্যাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর, বেতার তরঙ্গ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং তা আটকানোর (জ্যামিং) প্রযুক্তি— সব মিলিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন ড্রোন হানার মোকাবিলা করতে। যে অত্যাধুনিক ড্রোন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাটি সেনা চাইছে, তাতে লুকিয়ে থাকা ড্রোনকে অনায়াসেই চিহ্নিত করা যাবে।

সেনার আকাশ সুরক্ষা বাহিনীর (এএডি) ডিরেক্টর সুমের ইভান ডি’কুনহার মতে, নিচু উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়া ড্রোন চিহ্নিতকরণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে চলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি এএডির ডিরেক্টর বলেছেন, ‘‘আমাদের বর্তমান নজরদারি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত র‌্যাডারগুলি অক্ষম। সেই খামতি মেটাতে আমরা এলএলএলআর (লো লেভেল লাইট রাডার) আনতে চলেছি।’’ পাহাড় এবং জঙ্গলঘেরা এলাকায় ছ’-সাত কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারি চালাতে সক্ষম এলএলএলআর। খুব নিচু দিয়ে ওড়া ছোট ড্রোনকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম।

গত মাসে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী কাশ্মীর উপত্যকা এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চলের পরিস্থিতির কথা ব্যাখ্যা করেন। ওই সময়ে তিনি জানান, মজুত করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র পাচারের উদ্দেশ্যে অনেক সময়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছে। কখনও আবার ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে উত্তর কাশ্মীর এবং ডোডা-কিস্তওয়ার অঞ্চলের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

Indian Army Drone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy