সুইৎজ়ারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের জমা করা তহবিল ২০২৪ সালে তিন গুণ বেড়ে ৩৫০ কোটি সুইস ফ্র্যাঙ্ক-এ পৌঁছেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যে অঙ্ক প্রায় ৩৭,৬০০ কোটি টাকা। এই গ্রাহকদের মধ্যে ব্যক্তির পাশাপাশি রয়েছে ব্যবসায়িক সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। এর মধ্যে ওই দেশে ভারতীয় ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকা তহবিল বেড়েছে কার্যত ‘অস্বাভাবিক’ ভাবে। অথচ সেই তুলনায় ব্যক্তিগত আমানতকারীদের তহবিল বৃদ্ধির পরিমাণ সামান্যই। এক বছরে মাত্র ১১% বেড়ে তা হয়েছে ৩৪.৬ কোটি ফ্র্যাঙ্ক (প্রায় ৩৬৭৫ কোটি টাকা)। অর্থাৎ, সামগ্রিক ভারতীয় তহবিলের এক-দশমাংশ।
সুইৎজ়ারল্যান্ডে ব্যবসা করা ব্যাঙ্কগুলির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এই তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী যা তারা প্রত্যেক বছর ভারত সরকারের কাছে সরবরাহ করে। তবে তারা একাধিক বার উল্লেখ করেছে, এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে ‘বহুচর্চিত’ কালো টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। ২০১৮ সালে ভারত ও সুইৎজ়ারল্যান্ডের মধ্যে পরস্পরের নাগরিক এবং সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আদানপ্রদান সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম বার স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে সেই তথ্য পায় ভারত।
২০২১ সালে সুইৎজ়ারল্যান্ডের ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা তহবিল ৩৮৩ কোটি ফ্র্যাঙ্ক-এ পৌঁছেছিল। যা ছিল ১৪ বছরের সর্বোচ্চ। তার পরের দু’বছরে সেই অঙ্ক অনেকটা কমে যায়। ২০২৩ সালে নামে ১০৪ কোটিতে। তার পরে গত বছর হঠাৎই তা তিন গুণ বেড়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ওই দেশে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৬৫০ কোটি ফ্র্যাঙ্ক। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)